২০২০ সালের মার্চে করোনার জন্য বন্ধ হয়েছিল স্কুলের গেট। ২০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে নভেম্বরের ১৬ থেকে খুলছে রাজ্যের স্কুল। এখনও করোনাভাইরাসের চোখ রাঙানি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাজ্যে। তবে ভ্যাকসিন আসাতে অনেকটাই কম সংক্রমণ মাত্রা। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো,আবার ফিরেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরনো প্রতিচ্ছবি! সশরীরে স্কুলে যেতে পারছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। পড়ুয়া জীবনে অনলাইনের পরিবর্তে ফিরেছে ব ক্লাসরুম, ব্ল্যাকবোর্ড।
ইতিমধ্যে আবার স্কুলে যেতে পেরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা বেশ খুশি। এরই মধ্যে এবার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অফলাইনে পঠনপাঠন শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবারো শুরু হতে চলেছে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির মিড ডে মিলে রান্না করা খাবার পরিবেশন। আসন্ন ডিসেম্বরের মধ্যেই মিড ডে মিলের চেকলিস্ট ব্লক মারফত স্কুল শিক্ষা দফতরে এসে পৌঁছবে খাবার। সরকারি স্কুলের এই পদক্ষেপ মিড ডে মিলে রান্না করা খাবারের পরিবেশনের এই খবর থেকে ইঙ্গির মিলছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফের স্কুল খোলা হবে।
স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে মিড-ডে মিলের এও বিষয়টি দেখার জন্য যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাঁর তরফ থেকে একটি চিঠি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলাশাসকের কাছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলার অন্তর্গত যে সরকারি স্কুলগুলি রয়েছে, সেখানে মিড-ডে মিল রান্না করার সরঞ্জাম ঠিকমতো রয়েছে কি না তার তথ্য জমা দিতে। আর কোন স্কুলে মিড ডে মিল স্কিমের কী পরিস্থিতি, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রত্যেকটি বিদ্যালয় থেকে নেওয়া হবে বিকাশ ভবনের তরফ থেকে।
আরো বলা হয়েছে, এই চিঠির উত্তএ ডিসেম্বরের মধ্যেই তথ্য জমা করতে হবে। সম্ভাব্য ২৮ ডিসেম্বরের আগে মিড ডে মিলের সব দিকের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বিকাশ ভবন। অর্থাৎ স্কুল অন্যান শ্রেণীর জন্য খুললে তাদের রান্না করা মিড ডে মিল প্রথম দিন থেকেই দিতে চাইছে বিকাশ ভবন। আর এর থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন বছরব জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খোলা হবে৷ যদিও সকলের জন্য স্কুল খোলা পুরোপুর নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতি কী রকম থাকে তার উপর।
ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এর মাঝেই বেঙ্গালুরুতেও একটা আশঙ্কার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এসবের মধ্যে আগামী কয়েকদিন রাজ্যে কী রকম পরিস্থিতি থাকে তার উপর নির্ভর করেই পরবর্তী সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে বিকাশ ভবন। তবে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সমস্ত পড়ুয়াদের ড্রাই রেশন দেওয়া হচ্ছে।