এতদিন মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য গর্বিত ছিলেন তাঁর মেয়ে সানা গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এখন নিজের মেয়ের জন্য গর্বিত বাবা সৌরভ। হ্যাঁ বাবার কেরিয়ারের সঙ্গে অঙ্গীকভাবে জড়িয়ে রয়েছে যে শহর, সেখানেই নিজের উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দিয়েছেন মহারাজের নয়নের মনি সানা।। বাবা মায়ের হাত ধরে ভর্তি হয়েছিলেন লন্ডনের গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেয়ের ভর্তির পদ্ধতি সম্পূর্ণ করতে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলন সস্ত্রীক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। স্ত্রী ডোনা ও মেয়ের সানার সঙ্গে তোলা একটি মিষ্টি সেলফি শেয়ার করেই বিসিসিআই দলের অধিনায়ক সেই সুখবর দিয়েছিলেন।
বর্তমানে সৌরভ দাদাগিরি’র সঞ্চালনাতে বেশ ব্যস্ত। অন্যদিকে সানা আর ডোনা ম্যাডাম বিদেশ বিঁভুইতে। এই দাদাগিরির মঞ্চে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানান টুকরো-টুকরা অভিজ্ঞতা আর প্রতিচ্ছবি প্রায়শই তুলে ধরেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ফ্যামিলি ম্যান হিসেবে সুপরিচিত দাদার কথায় প্রায়ই উঠে আসে বউ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও মেয়ে সানার নানান অজানা কথা। সম্প্রতি দাদাগিরিতে হাজির হয়েছিলেন রূপাঞ্জনা মিত্র। আর তাঁর সাথে কথা প্রসঙ্গেই সৌরভ জানান এখন তাঁর মেয়ে-বউ বাড়িতে না থাকায় একা লাগে তাঁর মাঝেমধ্যে।
এই দিন তিনি জনসমক্ষে বলেন, ‘আমি একটা ১৯ বছরের মেয়েকে সেন্ট্রাল লন্ডনে একা ছাড়তে পারিনি। আমার স্ত্রীও ওর সাথে থাকে। কারণ ওখানে কোনও কলেজেই ক্যাম্পাসের মধ্যে হোস্টেল নেই। ওরা আমাদের লন্ডনের বাড়িতেই থাকে। এখানে আমি খুব একা হয়ে গিয়েছি’, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই একাকিত্ব।
সৌরভ এদিন মেনে নেন, তাঁর আদূরে মেয়েকে বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর পক্ষে প্রাথমিকভাবে খুব কঠিন ছিল। কিন্তু পরে উপলব্ধি করেন, তিনি নিজে কতদিন নিজের বাবা-মায়ের সাথে ছিলেন। একটা বয়সের পর ছেলে মেয়ের উন্নতির আর ভালোর জন্য তো ছাড়তেই হয়। এদিন রূপাঞ্জনার পাশাপাশি ‘দাদাগিরি’তে দেখা মিলল ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালী চৌধুরী, ঋষি কৌশিক, সৌরভ দাস, প্রীতি বিশ্বাসের।