রচনা কি সত্যিই ডিভোর্সি? স্বামীর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী
বহুদিন ধরেই টলি ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত রয়েছেন অভিনেত্রী রচনা ব্যনার্জি। একসময়ে বাংলা দর্শকদের হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। শুধু বাংলা না হিন্দি আর দক্ষিণী ইন্ড্রাস্টিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। এখন অভিনয় না করলেও টেলিভিশনে প্রতিদিন দর্শকের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ‘দিদি নং ওয়ান′ দিয়ে রচনা ব্যানার্জি হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয় দিদি। টানা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রচনা এই শোয়ের সঞ্চালনা করছেন। এই শোয়ের মাধ্যমে তিনি বহু মহিলার আদর্শ হয়েছেন। হাসিমুখে বহু মেয়ের সমস্যা সমাধান করেছেন।
তবে রচনা টলিউডের অন্যান নায়িকাদের মতো নিকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সেভাবে কথা বলতে শোনা যায় না তাঁকে। এমনকী আজ অব্দি তাঁর নামে কোনও বিতর্ক হয়নি। বরং রচনা নিজের কাজ আর নিজের মতো করে স্বাধীন মতো থাকতেই ভালোবাসেন। অভিনেত্রীর ছেলে প্রণিলের গল্প ‘দিদি নম্বর ১’-এ শুনেছেন অনেকেই। তবে রচনা আর তাঁর স্বামীর মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণ যে কী, তা অজানা অনেকেরই।
রচনা কি তাঁর স্বামীর সাথে ডিভোর্স নিয়েছেন নাকি তিনি সিঙ্গেল মাদার, কারও সাথে সম্পর্কে আছেন নাকি কারও সাথে সম্পর্কে কি জড়াতে চান অভিনেত্রী? এই প্রশ্ন অনেকের। তবে এবার ৪৭ বছরের রচনা এই নিয়ে সরাসরি কথা বললেন এক সংবাদমাধ্যমের সাথে। রচনা জানালেন, তিনি বিবাহিত, তবে তাঁর নামে ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ তকমাটা আর যায় না। যদিও স্বামীর সাথে তিনি ডিভোর্স নেনিনি। তবে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন।
রচনার কথায়, ‘ছেলের জন্যই আমরা ডিভোর্স নিইনি। কারণ আমি কখনও চাইনি যে আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে তাঁর বাবা-মা ডিভোর্সড। এটা আমার এবং আমার স্বামীর মিলিত সিদ্ধান্ত।’স্বামীর সাথে রচনার সম্পর্ক এখন বন্ধুর মতো। রচনা জানিয়েছেন ছেলেকে সাথে নিয়ে তিনজন প্রায়ই রেস্তোরাঁয় খেতে যান। ছেলের পরীক্ষা থাকলে তাঁর স্বামী বাড়িতে এসে থাকে, ছেলেকে পড়ায়। তিনজনে মিলে একসঙ্গে বসে গল্প করেন, হাসি-ঠাট্টাও করেন।
উল্লেখ্য,২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন রচনা। অভিনেত্রীর ছেলের নাম ও রয়েছে প্রণিল বসু। বাবা আর ছেলের সাথেই থাকতেন রচনা। যদিও গত নভেম্বরে মারা যান রচনার বাবা। সেই শোক কাটিয়ে সদ্য দিদি নাম্বার ওয়ানের কাজে ফিরেছেন সকলের প্রিয় দিদি। পাশাপাশি নিজের শাড়ির বুটিকের কাজ ও শুরু করেছেন।