গত শনিবার, ১১’ই ডিসেম্বর দাদাগীরির মঞ্চে করি খেলা টিমের সাথে উপস্থিত হয়েছিলেন তরুণ কুমারের নাতবৌ ত্বরিতা চ্যাটার্জী। এর আগের সপ্তাহে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় দাদাগীরির মঞ্চেই জানিয়েছিলেন উত্তম কুমার এক জাম বাটি মাংস খেতেন। তবে খাদ্যপ্রেমী হলেও তিনি নিয়মিত শরীর চর্চা করতেন বলেই জানিয়েছেন তরুণ কুমারের নাতি সৌরভ চ্যাটার্জীর স্ত্রী ত্বরিতা।
তবে অনেকেই জানেন একসময় নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করতেন মহানায়ক। তাকে ট্রেনিং দিতে রীতিমতো বাড়িতে ট্রেনার আসতেন সেইসময়। এমনকি ফিট থাকার জন্য সাঁতার শিখেছিলেন তিনি। সেইসময় সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলেও ফিল্মি ম্যাগাজিনের মাধ্যমে পছন্দের নায়ক নায়িকাদের ব্যাপারে অনেক তথ্যই পাওয়া যেত। তখনকার ফিল্মি ম্যাগাজিনগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘উল্টোরথ’। এই ম্যাগাজিনের মাধ্যমে মহানায়ক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এ ছবি প্রায়ই ছড়িয়ে পড়তো তার অনুরাগীদের মাধ্যে।
দাদার মতো খেতে ভালোবাসতেন তরুণ কুমারও। তবে তিনি শরীরচর্চা করতে সেভাবে পছন্দ করতেন না। উত্তম কুমারের আগে তিনিই প্রথম এসেছিলেন এই অভিনয় জগৎ’এ। প্রতিদিন সকালে মিন্টো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যেতেন মহানায়ক। তবে তরুণ কুমার শরীরচর্চার সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেও তার গন্তব্য ছিল ভবানীপুরে দাদার বাড়ি। সেখানে গিয়ে সুপ্রিয়া দেবীর হাতের রান্না খেতে তিনি। আবার কখনও কখনও দাদার গাড়ির পেছনের সিটে আয়েশ করে ঘুমিয়ে পড়তেন, যার জন্য পরবর্তীকালে অভিনেতা শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে শুরু করেছিল। উল্লেখ্য, তাতে অভিনয়ের একচুল এদিক-ওদিক হয়নি।
দাদা-ভাই দুজনেই ছিলেন সেইসময় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির দুই কিংবদন্তি অভিনেতা। যে কোন মুহূর্তে, যেকোন চরিত্রে অভিনয় করে দিতে পারতেন তারা। একাধিকবার একইসাথে বড়পর্দায় দেখাও গিয়েছে তাদের। আজও তাদের অভিনীত প্রতিটি ছবি মানুষ নিজের মণিকোঠায় রেখে দিয়েছেন।
তবে মহানায়কের নাতি গৌরব চ্যাটার্জী ও তরুণ কুমারের নাতি সৌরভ চ্যাটার্জী দুজনেই শরীরচর্চায় সিদ্ধহস্ত। নিজেদের ফিট থাকা নিয়ে তারা খুবই সচেতন, তা তাদের দেখলেই বোঝা যায়। উল্লেখ্য, দুজনেই রয়েছেন অভিনয় জগৎ’এ। এমনকি এনাদের দুজনের স্ত্রীরাও রয়েছেন অভিনয় জগৎ’এই।