গত বছর অক্টোবর মাস থেকে একের পর এক ঝড় বয়ে চলেছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খান ও তাঁর স্ত্রী গৌরীর ওপর। গত ২রা অক্টোবর ক্রুজ পার্টি মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। দু’দফায় এনসিবি হেফাজতের পর টানা ২৫ দিন আর্থার জেল হেফাজতে থাকার পর দীর্ঘ শুনানির পরও মাদক মামলায় জামিন হয় আরিয়ানের। তবে এই জামিন পেতে মন্নতের রাজপুত্রকে অনেক শর্ত মানতে হয়েছে। দীর্ঘ লড়াইয়ে সাময়িক বিরতি পেয়েছেন আরিয়ান। পাশাপাশি ছেলেকে কাছে পেয়ে কিছুটাভশান্তি পেয়েছেন শাহরুখ।
তবে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে খান পরিবার। এরই মধ্যে পেলেন আবারও এক হুমকি। এবারে বাদশার রাজপ্রাসাদ মন্নত উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু কে সেই যুবক? তবে এই হুমকির পর পুলিশ তদন্ত চালান। এরপর সেই যুবক মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে পলিশের জালে ধরা পড়ে। এরপর সেই গুণধরের ঠাঁই হয়েছে সোজা গরাদে। পুলিশ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এক উড়ো ফোনে মুম্বইয়ের একাধিক জায়গা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন গত সপ্তাহে। এবার সেই তালিকায় ছিল শাহরুখের ‘মন্নত’-ও।
মুম্বাই পুলিশের অফিসে আসা ওই উড়ো ফোনটিতে বাণিজ্যনগরীর বেশ কিছু জনবহুল এলাকায় ওই যুবক বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। এরপরেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন মহারাষ্ট্র পুলিশ-প্রশাসন। এরপর সেই তদন্ত থেকে জানা যায়, সেই উড়ো ফোন এসেছিল মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে। এরপরেই মুম্বাই পুলিশের থেকে খবর যায় মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কাছে। আর সেই তদন্ত থেকেই মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের পুলিশ গ্রেপ্তার করেন জীতেশ ঠাকুর নামে এক ব্যক্তিকে। আপাতত মধ্যপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন জীতেশ। এর পরে এই অপরাধীকে তুলে দেওয়া হবে মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের দাবি, জীতেশ নামক ব্যক্তি মত্ত অবস্থাতেই ‘মন্নত’-সহ মুম্বইয়ের একাধিক জায়গা উড়িয়ে দেওয়ার ওই হুমকি-ফোন করেছিলেন জীতেশ। এমনটা সে নাকি প্রথম নয় এর আগেও একাধিক বার একই ঘটনা ঘটিয়েছেন সেই ব্যক্তি। নিজের বৈবাহিক জীবনে কলোহের জেরেই নাকি এমন কাণ্ডকারখানা। প্রতিদিন জীতেশের সংসারে নিত্য ঝামেলা লেগেই থাকে। আর সেই থেকে শেষমেশ সেই রাগে খোদ কিং খানের উপরে রাগ মেটালেন জবলপুরের জীতেশ। তা অবশ্য জানা যায়নি তবে তদন্তের শেষে জানা যায়নি।