বাংলা সিনেমা এবং টলিউড ইন্ডাস্ট্রি বাঙ্গালীদের অনেক প্রতিভাবান তারকাদের উপহার দিয়েছে। ২০০০ এর দশকে বাংলা সিনেমার অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন রচনা ব্যানার্জি। তিনি প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত মিঠুনের মত তারকাদের সাথে অভিনয় করে বাংলা সিনেমা জগতের এক আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। বর্তমানে খুব একটা বেশি সিনেমার জগতে তাকে দেখা না গেলেও তার জনপ্রিয়তাতে এক ফোঁটাও আঁচড় পড়েনি। তিনি জি বাংলা চ্যানেলে সম্প্রচারিত ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রিয়েলিটি শো সঞ্চালনা করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তবে অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্য সিংহভাগ অনুরাগী উৎসুক হয়ে থাকেন। সবার কাছে একটাই প্রশ্ন যে রচনা কি ডিভোর্সি? রচনা কি সিঙ্গেল মাদার? স্বামী প্রবালের সাথে সম্পর্ক কেমন তাঁর? তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি নিজেই।
দিদি নাম্বার ওয়ান রিয়েলিটি শোতে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দিদিদের মনের কথা শোনেন। সেই সাথে থাকে আড্ডা, অদম্য লড়াইয়ের কাহিনী, হার না মানা ইচ্ছা, মজার খেলা, গিফট এবং আরও কত কি। তবে কখনই রচনা ব্যানার্জীর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে কোনো কথা হয়নি। তাই অনুরাগীরা অভিনেত্রীর এই মুহূর্তের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আসলে বিতর্ক থেকে দূরে থাকার জন্য রচনা ব্যানার্জি কখনো নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন না। এমনকি তিনি বারংবার ছেলের কথা উল্লেখ করলেও স্বামী প্রবালের সম্বন্ধে কোন কথাই বলেন না। তাঁর সংসারে সম্পর্কে সমীকরণ সকলের কাছেই অজানা ছিল এতদিন। তবে এবার অনুরাগীদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দিদি নিজেই।
এক সাক্ষাৎকারে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ রচনা ব্যানার্জি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “তাঁর সাথে হ্যাপিলি ম্যারেড তকমাটা মানায় না। তবে স্বামীর সাথে ডিভোর্সও হয়নি তাঁর।” কথাটি শুনে অবাক লেগেছে অবশ্যই। সমস্ত জলঘোলা স্পষ্ট করে অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, “ছেলের জন্য আমরা এখনও পর্যন্ত ডিভোর্স নিয়নি। কারণ আমি চাইনা যে আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে তার বাবা ও মা ডিভোর্সড। এটা আমি এবং আমরা স্বামীর মিলিত সিদ্ধান্ত।”
তিনি এও জানিয়েছেন যে স্বামী প্রবালের সঙ্গে একসঙ্গে না থাকলেও তাঁদের মধ্যে বন্ধুর মত সম্পর্ক আছে। মাঝে মাঝেই ছেলেকে নিয়ে তাঁরা একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেতে যান। এছাড়া ছেলের পরীক্ষা থাকলে স্বামী বাড়িতে এসে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে দেন। হাসি ঠাট্টা, গল্প মিলিয়ে তাঁরা বাকি জীবনটা এমনভাবেই কাটিয়ে দিতে চান। তবে রচনা ব্যানার্জি আর ভবিষ্যতে তাঁর জীবনে কোনো পুরুষের সান্নিধ্য পেতে চান না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। তাঁদের ছেলের নাম প্রণিল।