পর্দায় আবীর চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতি মানেই বর্তমানের বঙ্গ নারীদের চোখ আটকে যাওয়া। তিনি বর্তমান প্রজন্মের ক্রাশ। পরিচালক অমিত দত্তের সূত্র ধরেই ‘রবিবারের বিকেলবেলা’য় ২০০৬’তে প্রথম অভিনয় করেন আবির। সেই থেকেই তার অভিনয় জীবনের পথচলার শুরু। এরপর ২০০৯’তে ‘ক্রস কানেকশন’ ছবির হাত ধরে টলিউডে দেখা দেন এক সুদর্শন আকর্ষণীয় নায়ক। যাকে দেখে কুপোকাত হয়েছিল অনেকেই। তবে অবশ্য তারপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তিনি টলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। তবে আজ আমরা নায়ককে নিয়ে নয় তার স্ত্রীকে নিয়ে জানবো। উঁকি দেবো তার অন্দরমহলে।
বং ক্রাশ আবীর চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নাম নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। এমবিএ করার সময়ই আলাপ হয়েছিল তাদের। সেইসময় থেকেই প্রেম। পরে ২০০৭ সালে একে অপরের সাথে গাঁটছাড়া বাঁধেন তারা। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে তার নাম ময়ূরাক্ষী চট্টোপাধ্যায়। আবির চ্যাটার্জীর স্ত্রী খুব একটা ক্যামেরার সামনে আসতে পছন্দ করেন না। লাইমলাইট থেকে দূরে থেকেও দীর্ঘদিন সংসার করা যায় তা মান করেছেন নন্দিনী। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসাথে দেখা মেলে এই জুটির। বিচ্ছেদের মরসুমে তাদের সম্পর্কের গভীরতা যে দিনে দিনে আরও বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য। নিজের অবসর পরিবারের সাথেই কাটাতে পছন্দ করেন অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা একবার জানিয়েছিলেন, তিনি মাঝে মাঝে তার স্ত্রীয়ের সাথে ঝগড়া করেন সম্পর্কটাকে সেলিব্রেট করার জন্য। তবে সেই ঝগড়ার রেস তাদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকে না বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।
অভিনেতা জানিয়েছিলেন নিজেদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি টেলিপ্যাথি ভীষণভাবে বিশ্বাস করেন। তারকা হিসেবে মিডিয়াতে প্রায়ই নানা গুজব রটে। তবে সেইসব ক্ষেত্রে অভিনেতা নিজের স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে নেন। অভিনেতা কথায়, যেকোনো গুজব কিংবা গসিপের ক্ষেত্রে তার স্ত্রী নন্দিনীর একটা আলাদা টেক থাকে যেটা নাকি ভীষণই অন্যরকম হয়। তারা দুজনেই যে নিজেদের দিক থেকে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে লায়াল, তা তাদের হাবভাবেই স্পষ্ট।
বং ক্রাশ আবির চট্টোপাধ্যায় ডার্ক চকলেট ও আঁচার খেতে ভীষণভাবে পছন্দ করেন। তাই বাড়ির যেকোন অনুষ্ঠানে কিংবা তার জন্মদিনে এই দুটো জিনিস অবশ্যই ভাবে থাকে। তার জন্মদিনে চকলেট কেক থাকেই। বলাই বাহুল্য, কাজের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চুটিয়ে সংসার করছেন অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি সঞ্চালনাতেও যোগ দিয়েছেন তিনি। জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গানের রিয়্যালিটি শো সারেগামাপা’তে সুদর্শন সঞ্চালক হিসেবে দেখা মিলেছিল তার।