ভাইরাল & ভিডিও

‘বিন্দাস এ দিল’, লাল নাইটি চোখে সানগ্লাস পরে যুবককে পাশে নিয়ে চুটিয়ে নাচ করলেন রানু মন্ডল, মুহূর্তে ভিডিও ভাইরাল

সবমিলিয়ে ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ৫ হাজারের বেশি মানুষ লাইক দিয়েছেন

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ার বিনোদন আজকালকার দিনে প্রত্যেকের জীবনে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। এই বিনোদনের দুনিয়াতে অনেকেই নিজের প্রতিভার জন্য রাতারাতি স্টার হয়ে গিয়েছেন। আশা করি, সকলেই রানাঘাটের রানু মন্ডলের নাম শুনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিওর দৌলতে রানাঘাটের রেলস্টেশনের ভিখারিনী থেকে মুম্বাইয়ের নামিদামি গায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আসলে রানু মন্ডল চরম দরিদ্রতা জর্জরিত হয়ে রানাঘাটের রেলস্টেশনে ভিক্ষা করে দিন চালাতেন। হঠাৎ করেই একদিন তাঁর গান করার একটি ভিডিও ক্যামেরাবন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই গোটা দেশজুড়ে রানু মন্ডলের নাম ছড়িয়ে যায়।

লতা মঙ্গেশকরের, “এক পেয়ার কা নাগমা হে” গানটি রানু মন্ডলের জীবনের ভোলবদল করে দিয়েছিল। প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে স্বপ্ননগরী মুম্বাইতে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তারপর হিমেশ রেশমিয়ার সাথে “তেরি মেরি কাহানি” গানে সুর দিয়ে গোটা দেশের কাছে উজ্জ্বল তারকা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে এমন চাকচিক্যপূর্ণ জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তাঁর। অতিরিক্ত অহংকার এবং অনেকের সাথে দুর্ব্যবহারের জন্য শেষপর্যন্ত এখন রানাঘাটের ভগ্নপ্রায় বাড়িতে ফিরে এসেছেন রানুদি।

তবে তিনি এখনও সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনায় থাকেন। যখন তখন যেকোন বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে তিনি ভাইরাল হয়ে যান ইন্টারনেটের দুনিয়াতে। আসলে মাঝে মাঝেই আজকাল রানু মণ্ডলের বাড়িতে বিভিন্ন যুবক ইউটিউবার গিয়ে সারাদিন গল্প আড্ডা দিয়ে রানুদির সাক্ষাৎকার নিয়ে আসে। সম্প্রতি এক কমবয়সী যুবক গিয়ে রানু মন্ডলের সাথে তুমুল নাচ করে। ঐ যুবকটি বাংলা সিনেমা কেলোর কীর্তির “বিন্দাস এ দিল বড় মুশকিল” গানে রানুদির সাথে নাচ করে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নাইটির ওপর জ্যাকেট পরে এবং চোখে হলুদ রঙের সানগ্লাস লাগিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রানু মন্ডল। আর তাঁকে ঘিরে ওই কমবয়সী যুবক উদ্দাম নাচ করছেন।

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে আসতেই নিমেষের মধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আসতে শুরু করে কমেন্ট বক্সে। অনেকে ভিডিওটি নিয়ে রসিকতা করে হাসির ছলে উড়িয়ে দেয়। তবে কিছু কিছু মানুষ কমেন্ট করে বলেন যে রানু মন্ডলের মাথার ঠিক নেই আর। সবমিলিয়ে ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ৫ হাজারের বেশি মানুষ লাইক দিয়েছেন। ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাল ভিডিও।

Related Articles

Back to top button