বন্যপ্রাণীর গলায় শিকল পরিয়ে তার সাথে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। সম্প্রতি এই কারণেই বিপাকে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। এই কারণবশতই আপাতত দফায় দফায় বনদপ্তরের তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে। বন্যপ্রাণ বিরোধী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শাখার তরফ থেকে ১৫’ই জানুয়ারি প্রথম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানো হয়েছিল অভিনেত্রীর কাছে। সোমবারেই তিনি প্রথম গিয়েছিলেন অরণ্য ভবনে।
তবে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেই থেমে যাননি বনদপ্তরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবারেও জেরা করার জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বনদপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সমস্ত সত্যি প্রকাশ্যে আসছে ততক্ষণ দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীকে।
এই দুদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, অভিনেত্রী এই গোটা বিষয়টি না বুঝেই ঘটিয়ে ফেলেছেন। তার কথায়, শুটিংয়ের খাতিরেই গলায় শিকল-বাঁধা একটি ছোট্ট বেজির বাচ্চা তার হাতে এসে পৌঁছেছিল। এই ছোট্ট প্রাণীটিকে দেখে তার ভীষণভাবে ভাল লেগে যায়। আর সেই কারণবশতই তিনি ঐ ছোট্ট প্রাণীটিকে হাতে নিয়ে তার সাথে ছবি তুলে শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। এরপর সেই ছবি শেয়ার হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় পশুপ্রেমীদের মাঝে। তারা রীতিমতো দাবী তুলেছেন, অভিনেত্রী এমন ঘটনা কীভাবে ঘটিয়েছেন? তবে নেটমাধ্যমে এই বিষয়ে কোনরকম বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।
তবে এই পশুটি অভিনেত্রীর হাতে কিভাবে এসে পৌঁছালো তার সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত দফায় দফায় তাকে জেরা করা হবে বলেই জানানো হয়েছে বনদপ্তরের তরফ থেকে। সম্ভবত, অভিনেত্রীর কোনো এক গাড়ির চালকের মারফতই এই প্রাণীটি অভিনেত্রীর হাতে এসে পৌঁছেছিল। তবে এই ঘটনার সাথে অভিনেত্রীর প্রত্যক্ষ কোন যোগ না থাকলেও তিনি শাস্তি পাবেন কিনা সে বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ বনদপ্তরের আধিকারিকরা।