শ্রীলেখা মিত্র টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চর্চিত অভিনেত্রী। কোন না কোন কারণে মিডিয়াতে চর্চায় থাকেন তিনি। বেশিরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় বিভিন্ন কারণে কটাক্ষের শিকার হতে দেখা যায় তাকে। বিনোদন থেকে রাজনীতি যেকোনো বিষয়ে স্বাধীনভাবে নিজের বক্তব্য পেশ করতে পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু সেই জন্যই তাকে অনেকসময় নেটিজেনদের একাংশের কু-মন্তব্যের শিকার হতে হয় অভিনেত্রীকে।
‘বডি শেমিং’ কথাটা বর্তমান যুগে সকলের কাছে বেশ ভালোই পরিচিত। বিশেষ করে বহু মেয়েদের এই কথা প্রায়ই শুনতে হয়। বিনোদন জগতের একটু স্থূলকায় অভিনেত্রীদের প্রায়ই এমন ধরণের কথা শুনতে হয়। তবে এটা নতুন কিছু নয়। শুরু থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে বডি শেমিং বিষয়টা বর্তমান। সম্প্রতি নারী দিবসে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন শ্রীলেখা মিত্র।
একটা সময় শুধুমাত্র মোটা হওয়ার কারণে ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাকে। নানা জনের কাছ থেকে শুনতে হয়েছে নানা অপ্রীতিকর মন্তব্য। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গেই অভিনেত্রী বলেছেন, এখনো তাকে বডি শেমিং-এর শিকার হতে হয়। তাকে শুনতে হয়, তিনি এতো মোটা কেনো হয়ে গিয়েছেন? মোটা হওয়ার পরও তার ছোট পোশাক পরতে লজ্জা করে কিনা? কিভাবে তার এত ওজন বেড়ে গেল? প্রায়ই এমন নানা ধরনের মন্তব্যের শিকার হতে হয় অভিনেত্রীকে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী জানান, তিনি এমন ধরনের প্রশ্নে রীতিমতো জর্জরিত। কথা বলতে গিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন তিনি।
তার কথায়, আজকের যুগে দাঁড়িয়েও কিভাবে একটা মানুষ অন্য মানুষকে শুধুমাত্র তার চেহারা, গায়ের রঙ, ওজন বা উচ্চতা দিয়ে বিচার করতে পারে? মা হওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই তার ওজন বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। তাই বলে যে কেউ এই প্রসঙ্গে যা খুশি মন্তব্য করতে পারেন না বলেই মনে করেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী আরো বলেন, অনেকসময় বহু পরিচালক তাকে ফোন করে ছবি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র তার ওজন বেশি বলে। কিন্তু এমন সব বিষয়ের সম্মুখীন হওয়ার পরেই অভিনেত্রী ঠিক করেন, তিনি রোগা হবেন কিনা কিংবা তিনি কোন পোশাক পরবেন সেটা শুধুমাত্র তিনিই ঠিক করবেন। সেক্ষেত্রে অন্য কারোর কথা তার কাছে গ্রাহ্য হবে না। এমনকি তিনি এও জানান, তার ঘনিষ্ঠমহলের বেশ কয়েকজনের কাছ থেকেও বডি শেমিং নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে তাকে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি এই সমস্ত বিষয়কে কখনো পাত্তা দেননি, আর ভবিষ্যতেও দেবেন না।