নিউজপলিটিক্সরাজ্য

BIG BREAKING: কড়া সিদ্ধান্ত মমতার, মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর আজ প্রথম বৈঠকে বসেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা

Advertisement

এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের পক্ষে কুনাল ঘোষ আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যদি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিকেলেই হবার কথা তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক। তবে তার আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হবার পর আজকেই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল। জল্পনা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রীত্বের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ওই বৈঠকের পর পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেওয়া হলো। শিল্প-বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি এবং পরিশোধীয় মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

মনে করা হয়েছিল আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে তেমন বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। বড় আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে কথা হবে। কিন্তু সেরকম জল্পনা আর বেশি দিন রাখলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের বৈঠকের পরেই পার্থকে মন্ত্রিসভার সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর থেকেই বিরোধীরা দাবী জানিয়েছিল, মন্ত্রীত্ব থেকে সরাতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এর পাশাপাশি আজ তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একটি টুইট করে বলেন, মন্ত্রিত্ব এবং দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে।

তার এই টুইটের পর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। এতদিন পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে শিল্প-বাণিজ্য, পরিষদীয়, তথ্যপ্রযুক্তি এবং শিল্প পুনর্গঠন দপ্তর ছিল। আপাতত সবকটি দপ্তর থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি দপ্তর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে। তবে, পার্থকে পদ থেকে সরানো কি দল থেকে সরানোর ইঙ্গিত? এই নিয়ে ইতি মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পার্থক্য কেন্দ্র করে গত চার দিন ধরে পাহাড় প্রমাণ চাপ তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর। তাতেই একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল, হয়তো পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এখন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বৃদ্ধি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইরকম একটা পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায় দল বইতে চাইছে না। এরকমই একটা যুক্তি উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে।

তার পাশাপাশি, দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে আজ বিকেলে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থকে হয়তো দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর প্রথম থেকেই দল তাকে ক্লিন চিট দিচ্ছিল না। আবার তাকে কাঠগড়াতেও দাঁড় করানো হচ্ছিল না। তবে গতকাল বেলঘড়িয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে দ্বিতীয়বার টাকা উদ্ধারের পর সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্ব কেটে যায় এবং তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related Articles

Back to top button