শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবং পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ কোটির বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হওয়া নিয়ে সরগরম রয়েছে গোটা রাজ্য রাজনীতি। আপাতত ইডি হেফাজতে জেরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। গতকাল জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় কোনমতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে তাঁর কোনো টাকা নেই এবং সময় এলেই সব স্পষ্ট হবে। এছাড়াও গত শুক্রবার তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এবার সেই সূত্র ধরেই ইডি তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অথচ জানা গিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুখ বন্ধ রাখার পন্থা অবলম্বন করেছেন পার্থবাবু।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতের দিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এক ঘন্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সময় তদন্তকারীরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেন, “অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এর ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অংকের টাকা পাওয়া গিয়েছে, আপনি জানেন?”। উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ শুনেছি।” এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “এটা কি আপনার টাকা?”। জবাবে তিনি জানান যে ওই টাকা তাঁর নয়। এরপরই পাল্টা ইডি আধিকারিকরা প্রশ্ন তোলেন যে তাহলে কার টাকা? উত্তরে পার্থবাবুর উবাচ, “বলতে পারব না”।
সেই উত্তর না পেয়ে ইডি আধিকারিকরা ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ প্রসঙ্গ তুলে আনেন। কারা ষড়যন্ত্র করছে? বা সময়মত সব জানা যাবে! এই সমস্ত কথার অর্থ জানতে চাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। কারা ষড়যন্ত্র করছে এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ বন্ধ রাখেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এছাড়া বাকি প্রশ্নের উত্তর বেশ ঘুরিয়ে জটিল করে দেন পার্থবাবু।
প্রথম থেকেই ইডি তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন যে তদন্ত সহযোগিতা করছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তুলনামূলকভাবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদ এর সময় অনেক নতুন তথ্য তদন্তকারীদের জানাচ্ছেন। পার্থবাবু প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া এবং মুখ বন্ধ রাখার পন্থা অবলম্বন করছে যাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে এই নিয়ে খুব শীঘ্রই পাল্টা স্ট্র্যাটেজি নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।