কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরেই রেশন কার্ডধারীদের বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। বিশেষ করে করোনার কয়েকটি ঢেউয়ের তরঙ্গ সামলাতে প্রত্যেকটি রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি। তবে এবার রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ই রেশন কার্ড নিয়ে কঠোর হচ্ছে। আপনার কাছে যদি রেশন কার্ড থাকে এবং আপনি যদি সস্তায় সরকারি রেশনের সুবিধা নিয়ে থাকেন তাহলে এই খবরটি আপনার কাছে অত্যন্ত জরুরী। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার রেশন কার্ড সম্পর্কিত একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আসলে সন্দেহভাজনদের তালিকায় যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে তারা NFSA এর অধীনে রেশন পাওয়ার যোগ্য কিনা তা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে বলেছেন যে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মোট ৪.৭৪ কোটি রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া একইভাবে সন্দেহভাজন তালিকায় রাখা হয়েছে ৭০ লাখ রেশন কার্ডধারীকে। এই কার্ডধারীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এই ৭০ লাখের মধ্যে ৫০-৬০ শতাংশ ব্যক্তির রেশন কার্ডে যদি কোন গল্প পাওয়া যায় তবে তাদের কার্ড বাতিল করে নতুন ব্যক্তিদের নামের রেশন কার্ড জারি করা হবে এবং NFSA এর সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। গত ৯ বছরে বাতিল হওয়া ৪.৭৪ কোটি রেশন কার্ড থেকে প্রায় ১৯ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। যাদের কার্ড বাতিল করা হয় তাদের জায়গায় নতুন ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আসলে রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। আজ একজন ব্যক্তি সরকারের রেশন প্রকল্পের জন্য যোগ্য হতে পারেন। আগামীকাল তার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে তিনি যোগ্যতা হারাবেন। সেই ক্ষেত্রে তালিকা থেকে তার নাম বাদ দিয়ে যার দরকার তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। খাদ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালে। ওই বছর ৮৪ লাখের বেশি মানুষের রেশন কার্ড বাতিল হয়েছিল। রাজ্যের নিরিখে বলতে গেলে গত ৯ বছরে সবচেয়ে বেশি রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। আর তারপরে জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র।