করোনা সংক্রমণের দাপটের মাঝে ভারতীয় রেল তাদের একাধিক ট্রেন বাতিল করে দিয়েছিল। বন্ধ ছিল দূরপাল্লার ট্রেন থেকে শুরু করে কিছু লোকাল ট্রেনও। আর এই লোকাল ট্রেন ভারতের লাইফলাইন। এই ট্রেন বন্ধ হলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণের প্রভাব অনেকটাই কমেছে এই দেশে। পুনরায় চালু করা হচ্ছে রেল পরিষেবা। বন্ধ হওয়া বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন এবং লোকাল ট্রেন ফের চালু করা হচ্ছে ধাপে ধাপে। সমস্ত ট্রেন এখনই না চালু হলেও, ভারতীয় রেল পুরোদমে প্রচেষ্টা করছে পরিষেবা আবার আগের মত ফিরিয়ে দেওয়ার।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে যে বাংলার অন্যতম ভ্রমনস্থল দীঘা যাওয়ার লোকাল ট্রেন ফের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। গত ৩১ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে দিঘাগামী লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ফলে আনন্দের শেষ নেই বাঙালি পর্যটকদের। আপনাদের জানিয়ে রাখি, সপ্তাহের চার দিন অর্থাৎ সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার বেলা ২:২০ তে পাঁশকুড়া থেকে দীঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এই লোকাল ট্রেনগুলি। সরাসরি হয়তো শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে কোনো লোকাল ট্রেন নেই, তবে পাঁশকুড়া পৌঁছে সেখান থেকে দীঘা যাওয়া অত্যন্ত সহজ রুট।
জানা গিয়েছে দীঘা পৌঁছাতে ২.৫ ঘন্টা সময় নেবে এই লোকাল ট্রেনগুলি। পাঁশকুড়া থেকে ২:২০ মিনিটে ছেড়ে ট্রেনটি বিকেল ৫ টায় দীঘা পৌঁছাবে। আবার বিকেল ৫:২৫ এর সময় ট্রেনটি দীঘা থেকে ছেড়ে ৭:৪৫ মিনিটে পাঁশকুড়া পৌঁছাবে। তবে আপনি মনে করছেন কলকাতা থেকে তাহলে দীঘা কি করে যাওয়া যাচ্ছে লোকাল ট্রেনে? আসলে দিঘা যাওয়ার জন্য অনেকেই বেছে নেন হাওড়া স্টেশনকে। কিন্তু এই স্টেশনের মাধ্যমে মাত্র একবার ট্রেন চেঞ্জ করলেই যে লোকাল ট্রেনে যাওয়া যায়, তা অনেকেই জানতেন না। কি করে যাবেন? জানতে প্রতিবেদনের শেষ অংশটি অবশ্যই পড়ুন।
হাওড়া থেকে আপনি অনেক ট্রেন পাবেন যেগুলি পাঁশকুড়া, খড়গপুর বা মেদিনীপুর যাচ্ছে। লোকাল ট্রেনে করে হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ১৫ টাকা। এরপর পাঁশকুড়া থেকে লোকাল ট্রেনের দীঘা যেতে ভাড়া লাগবে ৩০ টাকা। আর এই হাওড়া থেকে দীঘা পৌঁছাতে মোট সময় লাগবে ৫ ঘন্টা। মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করে আপনি কলকাতার যানজট থেকে দীঘার সমুদ্র সৈকতের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কি! সময় পেলেই লোকাল ট্রেনে করে পৌঁছে যান বাঙালির প্রিয় সমুদ্রসৈকত দিঘাতে।