পুজোর মৌসুম মানে শুধুই তো আর আনন্দে গা ভাসানো নয়, এই পূজোর মরশুমের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বহু মানুষের রুটি রুজি। এমন বেশ কিছু পেশা রয়েছে, যেগুলি এই পুজোর কয়েকটি মাসে দারুণভাবে বিকশিত হতে পারে। এই সমস্ত ব্যবসার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুজোর সময় খুলে যায় বিপুল পরিমাণ আয়ের রাস্তা। শুধু দুর্গাপূজা নয় কালী পূজা এমন কি জগদ্ধাত্রী পুজোতেও এই ধরনের ব্যবসাগুলি লাভের মুখ দেখতে পায়। তাই এই দুর্গাপূজার সময় ঘরে ঘরে বাড়তি আয়ের রাস্তা বাতলে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের বাণিজ্যিক সম্মেলন থেকে যুব সমাজের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, “আপনারা শুধুমাত্র আশা করে বসে থাকবেন না, সকলকে খেটে রোজগার করতে হবে।”
কিন্তু কিভাবে খাটবেন এই যুবসমাজের মানুষরা? সেই সম্পর্কে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “চা ঝালমুড়ি ঘুগনি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। নিজের বাড়ির সামনে একটা টুল আর একটা টেবিল নিয়ে বসে পড়ুন। এখন পুজোর মরশুম রয়েছে। দেখবেন এতটা বেশি বিক্রি হবে যে কাউকে দিয়ে কুলাতে পারছেন না।” আর পূজোর এই কটা দিন এইভাবে বিক্রিবাটা করার জন্য মনে কোন রকম গ্লানি না রাখার বার্তাও দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, জনতার প্রশ্নের মুখোমুখি হলে আপনাকে তাদেরকে যোগ্য জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে, এই কাজটাও খারাপ নয়। তাদের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, “লোকে যদি বলে, এসব করছো? বলবেন, হ্যাঁ এসব করেই আমরা কোটিপতি হব। বলবেন, আমরা বিত্তবান হতে চাই না, বিবেকবান হতে চাই।”
বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে চাকরির নিয়োগপত্র বন্টন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাৎলে দিলেন ব্যবসার আইডিয়া। তিনি বললেন, “চা ভরতি কেটলি নিন, সঙ্গে কয়েকটা কাপ নেবেন। এসব নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ুন। দেখবেন হু হু করে চা বিক্রি হয়ে যাবে। পরেরদিন মাকে বলুন, একটু ঘুগনি বানিয়ে দিতে। সেটাও নিয়ে যান। সব বিক্রি হয়ে যাবে। একটা কৌটোয় ঝালমুড়ি ভরে নিন, অল্প বাদাম-ছোলা ফেলে দিন। দেখবেন একের পর একজন খেতে চাইবে। বিক্রি করে শেষ করতে পারবেন না। একটা শালপাতা নিয়ে মাঝখানে ফুটো করে কাঠি ঢুকিয়ে দিন, ঠোঙা হয়ে যাবে। তাতেই ঘুগনি, ঝালমুড়ি বিক্রি করবেন।”