পুরভোটের আগে আবারো তৃণমূলে জোড়া অস্বস্তি। দল ছাড়তে চেয়ে একই সাথে ফেসবুকে বার্তা দিলেন হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের বিধায়ক এবং হাওড়া গ্রামীণ এলাকার তৃণমূল সভাপতি সমীর পাঁজা। আর সেই হতাশার সুরে সুরমিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাওড়ার আরো এক বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়ে দিলেন দল যদি চায় তাহলে তিনিও সরে যেতে তৈরি। কিন্তু কি এমন হলো তৃণমূলের হাওড়া জেলা সংগঠনে, যে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে এই দুই তৃণমূল নেতা?
এদিন সকাল থেকেই সমীর পাজার একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টে অভিমানে সুরে উদয়নারায়ণপুরে তৃণমূল বিধায়ক লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র আমার এই মহান নেত্রীটি আছে বলেই আমি আজও তৃণমূল দল ছেড়ে যেতে পারিনি। কত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে নানা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ৩৮ টা বছর ধরে তিনি। এই মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে করতে এখন নিজেকে বড় বেমানান লাগছে। কারণ আজ অব্দি মিথ্যা নাটক করে, দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভালো সেজে একটা মেকি লিডার আমি হতে চাই না। না হলে কবেই টাটা বাই বাই করে দল ছেড়ে চলে যেতাম। আমার মত অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যারা আছে, তারা কি আদৌ কোন গুরুত্ব পাচ্ছে তৃণমূলে? তাই আর কি, আমারও যাবার সময় হল, দাও বিদায়।’
দলের অন্যতম পুরনো এই নেতার এহেন বার্তা মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সমীর পাঁজার অভিযোগ এবং অভিমানকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন হাওড়ার আরো এক শীর্ষ নেতা এবং রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলছেন, ‘সমীর পাঁজা দলের একজন সম্পদ। তার হতাশা দুঃখজনক। দলকে পুরনো কর্মীদের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। সমীরকে ছাড়া হাওড়ায় দল অচল।’
এরপর এই তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়ে অরূপ রায় বলেন, ‘আমারও প্রায় একই অবস্থা, দীর্ঘদিন দল করেছি, আমার নেতৃত্বে হাওড়ায় দল ক্ষমতায় এসেছে। যতদিন আমি মনে করব দলে থাকা দরকার বা দল যেদিন মনে করবে আমিও সেদিন সরে যাব।’