গতকাল, বৃহস্পতিবার এবিভিপির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের উপস্থিতি ঘিরে বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধঙকড়ের গাড়ি ক্যাম্পাস ছাড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
রাজ্য প্রশাসনের সতর্কতা অস্বীকার করে এদিন রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসায় কড়া সমালোচনা করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ সাংবিধানিক পদে থেকে রাজ্যপাল রাজনীতি করছেন।
এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। ছাত্রছাত্রীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকে, শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ছাত্রছাত্রীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে নিগ্রহ করেছেন। ক্ষমা চাইতেও অস্বীকার করেন তিনি। এরপরই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায়। এবিভিপির সমর্থকেরা ইউনিয়ন অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে দেওয়ালে ‘এবিভিপি’ লিখে দেয়। ভাঙচুর চালানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নং গেটে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পুলিশ ডাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু উপাচার্য রাজি হননি। প্রয়োজনে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান তিনি। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সাথে যোগাযোগ করেন বাবুল সুপ্রিয়। অবশেষে রাত আটটা দশ নাগাদ রাজ্যপালের গাড়ীতে ক্যাম্পাস ছাড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।