শ্রেয়া চ্যাটার্জি – আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা দাবি করছেন, মহানদীর তলা থেকে হঠাৎ উদ্ধার হয়েছে ৫০০ বছরের পুরনো একটি মন্দির। মন্দিরের চূড়াটি খুঁজে পাওয়া গেছে, কটক এর কাছে পদ্মাবতীর বৈদেশ্বরের কাছে মাঝ নদীতে। মন্দিরের তৈরির কাঠামো এবং মস্তক বানানোর ধরন দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, এটি পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে অথবা সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নির্মিত হয়েছে।
সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১১ বছর পরে আবার এই মন্দিরটি দেখা গেল। এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে গোপীনাথ দেবের উদ্দেশ্যে। একসময় নদীটি অন্যদিক দিয়ে বয়ে যেত, তখন এখানে মন্দির তৈরি হয়েছিল কিন্তু একবার এক প্রচন্ড বন্যায় নদীর গতি পরিবর্তন করে তখন গ্রাম শুধু মন্দিরের উপর দিয়ে নদীতে শুরু করেছিল। পরবর্তীকালে গোপীনাথকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে আনা হয়। আপাতত গোপীনাথকে এখন পদ্মাবতী গ্রামে গোপীনাথ মন্দিরে অবস্থান করছে।
সমুদ্রের তলায়, মাটির তলায় এমন কতইনা ইতিহাস ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। প্রকৃতির নিয়মে তারা কখনো তলিয়ে যায়, আবার প্রত্নতাত্ত্বিকদের সাহায্যে তারা নতুন প্রাণ ফিরে পায়। সভ্যতা আসে, সভ্যতা যায়। মানুষের বিবর্তন হয়। এক সভ্যতার মৃত্যুর উপরে তৈরি হয় আরেক সভ্যতার ভিত। মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে আসে সেই কালের সভ্যতা-সংস্কৃতি, জীবনযাপনের নানা নিয়মাবলী।