মালদা: তিন বছরের শিশু, ক্যান্সার আক্রান্ত। চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। জানা গেছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের পিপলা গ্রামের বাসিন্দা বিষ্ণু দাস। গত ৩ মাস ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত তাঁর বছর তিনেকের ছেলে শুভ দাস। অভাবের সংসারে এই রোগের ওষুধের খরচ চালানো কার্যত প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষ্ণুর কাছে। বিভিন্ন জায়গায় সাহায্য চেয়েও বিশেষ কোনও সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কোনও সহৃদয় ব্যক্তি, সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সরকার সহ প্রত্যেকের কাছেই সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছেন বিষ্ণু দাস।
জানা গিয়েছে, ৩ মাস আগে মায়ের সঙ্গে বিহারে দাদুর বড়িতে ঘুরতে যায় শুভ। সেই সময় পুকুরে পড়ে গিয়ে জল ঢুকে যায় শুভর ডান কানে। সৃষ্টি হয় ঘায়ের। সেই ঘা থেকেই মারণ রোগ ক্যানসার বাসা বাঁধে শুভর দেহে। প্রাথমিক ভাবে মালদা,হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, কাটিহার ও রায়গঞ্জে নিয়ে গিয়ে শুভর চিকিৎসা করানো হলেও রেডিয়েশন থেরাপি ও দ্রুত অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচারের খরচ প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য খরচ। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্কটা প্রায় তিন লক্ষ। এই বিপুর পরিমান অর্থ কীভাবে কীভাবে যোগার করবেন তা ভেবে রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না শুভর বাবা মা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা।
ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রীর যোগানের কাজ করেন বিষ্ণু। করোনা ও লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে উপার্জন। পরিবারে মোট ৬টি পেট। অনটনের মাঝে প্রত্যেকের জন্য খাবারের যোগান করতেই দিশেহারা অবস্থা, তার ওপরে আবার ক্যানসারের ওষুধের খরচ। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিনামূল্যে শুভর চিকিৎসা চললেও ওষুধের খরচ জোগাতে হিমসিম খাচ্ছে পরিবার। বিষ্ণু জানাচ্ছেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে হাত পাতলেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। এমনকি এলাকার নেতাদের বলেও কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি তাঁর। এই পরিস্থিতে বিষ্ণুর আবেদন, কোনও সহৃদয় ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সর্বোপরি সরকার যদি তাঁর দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে ঠিকমতো চিকিৎসা চালাতে পারেন সন্তানের।