ভগবানের কৃপাতে গরিব ও রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যেতে পারে। এই কথা একদম অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে মুর্শিদাবাদের দিনমজুর মহরম শেখের ক্ষেত্রে। গরিব দিনমজুর সে। লটারি কেটে হাজার বা লাখ নয়, রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন তিনি। অবাক হচ্ছেন তো? ভগবান যখন সহায় হন তখন সব কিছুই হতে পারে। ১২০ টাকা দিয়ে দুই ঘর লটারির টিকিট কিনেছিলেন তিনি। আর সেই টিকিটেই সব দুঃখের অবসান।
লটারির প্রথম পুরস্কার হিসাবে পান ১ কোটি টাকা। সোমবার খড়গ্রামের কীর্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা মহরম শেখ কোটিপতি হবার খবর সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই খবর শুনেই আনন্দে-উল্লাসে মেতে ওঠেন গ্রামবাসিরা। মহরম শেখ এই অর্থ দিয়ে কি করবেন এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই টাকার কিছুটা দিয়ে জমিজায়গা কিনে চাষবাস করে সংসার চালাবেন। পাকা বাড়ি তৈরী করবেন। ছেলেদের ভবিষ্যতের জন্য টাকা রাখবেন। কাঁচা বাড়িতে থাকা খুব কষ্টকর। তাই মাথার ওপর ছাদটা পাকা করতে চাইছেন তিনি।
মহরমের স্ত্রী মনোয়ারা বিবি খুবই খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, খুব কষ্ট করে অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালাতে হয়। এবার ঠাকুর মুখ তুলে তাকিয়েছে। মহরম প্রায় গ্রামের এক লটারির দোকান থেকে অল্প-স্বল্প টিকিট কাটতেন। আড্ডা দিতেন, আর চা খেতেন। সেদিন ও গল্প করতে করতে লটারির দোকানদারের কাছে আক্ষেপ করে বলেন যে লকডাউনে সব শেষ হয়ে গেছে। কিভাবে যে সংসার চালাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। আর তখনই দোকানদার অবশিষ্ট দুই ঘর ১০ সেমের টিকিট তাঁকে দেন। আর সেই টিকিটেই কেল্লাফতে।
সোমবার সকালে ফল দেখতে গিয়ে একদম হতবাক হয়ে যান মহরম। আর এই খবর দোকানদারকেই সবার আগে দেন তিনি। তবে এতগুলি টাকা যত্ন করে রাখতে হবে তাই নিয়ে চিন্তিত আছেন। যদিও তিনি ভগবানের উপর বিশ্বাস করেন, ভগবান সব রক্ষা করবেন।