উত্তরপ্রদেশ: হাথরস কান্ডে একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে বা বলা ভাল প্রতিদিন নতুন মোড় নিচ্ছে এই হাথরস কান্ড। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে যে, চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা উত্তরপ্রদেশের এসপিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ওই নির্যাতিতা তরুণীকে খুন করেছে তার মা ও ভাই। কারণ, ওই চার যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব মেনে নিতে পারেনি নির্যাতিতার পরিবার। তাই রাগের বশে মা ও ভাই নিজের মেয়েকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করে ওই চার অভিযুক্ত। কিন্তু এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আর সেটি হল, সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আহত অবস্থাতেও নির্যাতিতা তরুণীর মুখে ছিল মূল অভিযুক্ত সন্দীপের নাম।
এর আগেও নির্যাতিতার বহু ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোনও সংবাদমাধ্যমই তা প্রকাশ করেনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব ভিডিও দেদার শেয়ার হচ্ছে। আর এবার যে ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে সেটি হল, সেপ্টেম্বর মাসে হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি থাকা নির্যাতিতা তরুণী কথা বলছেন এবং তখনও তার মুখে অভিযুক্ত সন্দীপের নাম শোনা গিয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হল এখন এটাই যে, তাহলে কি সন্দীপ এবং তার তিন সঙ্গী ধর্ষণের পর খুন করেছে ওই নির্যাতিতা তরুণীকে? কিন্তু কোনও রিপোর্টে উল্লেখ মেলেনি ধর্ষণের। তাহলে সত্যিটা কী?
এদিকে আবার ইতিমধ্যেই অনার কিলিং-এর একটা অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে, সন্দীপের সঙ্গে নির্যাতিতার ভাই এবং আরও দুই সঙ্গীদের গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ফোনে কথোপকথন হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্যাতিতা তরুণীর ভাই। তিনি বলেছেন, সামনাসামনি কোনওদিন ওই চার যুবকের সঙ্গে কথা হয়নি। আর ফোনে কথা হওয়া তো দুরের কথা। পুলিশ সমস্তটাই সাজিয়ে এবং বানিয়ে বলছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার ভাই। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত হাথরস কান্ডে উত্তেজনা একইভাবে অব্যাহত, তা বলাই যায়।