দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নয়া মোড়! দায় স্বীকার করল এক অনামি জঙ্গি সংগঠন

নয়াদিল্লি: দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের দায় নিল এক অনামি জঙ্গি সংগঠন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ। টেলিগ্রামে একটি কথোপকথন খুঁজে বের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।  ওই…

Avatar

নয়াদিল্লি: দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের দায় নিল এক অনামি জঙ্গি সংগঠন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ। টেলিগ্রামে একটি কথোপকথন খুঁজে বের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।  ওই কথাবার্তায় জইশ-উল-হিন্দ-র ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের পর উল্লাস করার প্রমাণ মিলেছে। এনিয়ে গোয়েন্দারা জইশের ওই দাবি খাতিয়ে দেখছে।

দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনের ফুটপাতে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে একটি খাম পেয়েছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। সেখানে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও ইরানের এক পরমানু বিজ্ঞানীর উল্লেখ রয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে ইরান যোগের কথা উঠে আসছে। এর মধ্যেই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল এক অনামি জঙ্গি সংগঠন, জইশ-উল-হিন্দ।

গতকাল বিস্ফোরণের পর ম্যানুয়াল ট্রাকিংয়ে পাশাপাশি টেকনিক্যাল সার্ভেলেন্স শুরু করা হয়। বিশ্বজুড়ে জঙ্গিরা যেসব চ্যানেলে কথা বলে সেইসব জায়গায় ঢোকার চেষ্টা করে দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। দেখা যায় টেলিগ্রামে একটি চ্যানেল খোলা হয়। আজ সকাল ৬টা ০৪ মিনিটে ওই চ্যানেলে একটি পোস্ট করে জইশ উল হিন্দ। সেটি দুনিয়ার বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন শেয়ার করা হয়। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ  ওই অ্যাকাউন্টটি ডিলিটও করে দেওয়া হয়।

ওই টেলিগ্রাফ বার্তায় লেখা হয়েছে, দিল্লির বুকে একটি একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আল্লাহ-র কৃপায় দিল্লির একটি হাই সিকিউরিটি জোনে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাতে পেরেছে জইশের সেনারা। ভারতের বিরুদ্ধে এভাবেই একটি সিরিজ হামলার সূচনা করা হল। ভারতে যেভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যাচার করেছে এটা তার বদলা। অপেক্ষা করুন। আমরাও অপেক্ষা করছি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর বিস্ফোরণস্থল থেকে আইইডি ও ব্যাটারি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের পরই ওই ব্যাটারি ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। সেই ব্যাটারির টুকরো এখন খুঁজে দেখেছেন গোয়েন্দারা।

দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের দায় নিল এক অনামি জঙ্গি সংগঠন। এদিকে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের পরই  ঘটনাস্থলে ২ সন্দেহভাজনকে নামিয়ে দিতে দেখা যায় একটি গাড়িকে। তারা গাড়ি থেকে নেমে বিস্ফোরণস্থলের দিকে এগিয়ে যায়। ওই গাড়িটি ও তার চালককে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়ীর দুই আরোহীর স্কেচ আঁকা হচ্ছে।