Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

আইপিএলের বেটিংয়ে বাধা দেওয়ায় মা ও বোনকে বিষ খাইয়ে খুন যুবকের

Updated :  Monday, November 30, 2020 6:14 PM

হায়দরাবাদ: আইপিএল শেষ হয়ে গিয়েছে প্রায় বেশ কিছুদিন হল। তবে এই আইপিএলের রেশ এখনও চলছে হায়দরাবাদের মেদচাল এলাকায়। আইপিএলের বেটিংয়ে টাকা লাগিয়ে সেই টাকা খুইয়েছে অনেকদিন আগেই। কিন্তু তাতেও হুশ না ফেরায় পুনরায় আইপিএলের বেটিংয়ের জন্য টাকা লাগাতে চায় হায়দরাবাদের মেদচালের যুবক। কিন্তু সেই কাছে মা ও বোন বাধা দিলে তাদেরকে খুন করে ওই যুবক। খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

সাইনাথ রেড্ডি নামে এই যুবক মা ও বোনকে খুন করার পর সেই মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে চালানোর চেষ্টা করে আত্মীয়-স্বজনের সামনে নিয়মমাফিক মা ও বোনের শ্রদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন করে। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনের সন্দেহ হওয়ায় তারা চেপে ধরে ওই যুবককে এবং আত্মীয়-স্বজনের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে মা ও বোনকে খুন করার কথা স্বীকার করে সাইনাথ। তারপর আত্মীয়-স্বজনরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে এবং পুলিশের কাছেও খুন করার কথা স্বীকার করেছে সে।

জানা গিয়েছে, সাইনাথের বাবা প্রভাকর রেড্ডি মৃত্যুর পর ইন্সুরেন্স এবং অফিস থেকে বেশ কিছু টাকা পেয়েছিলেন সাইনাথের মা সুনিতা রেড্ডি। সেই টাকা এবং সঞ্চিত কিছু গয়নার থেকে বেশ কিছু গয়না বিক্রি করে আইপিএলের বেটিং চক্রে লাগিয়েছিল সাইনাথ। তাতে লাভ কিছুই হয়নি। উল্টো লোকসান হয়েছে অনেক। সে কথা জানতে পেরে মা ও বোন যখন তাকে বাধা দেয়, তখন সে প্রতিবাদ না জানিয়ে মনে মনে খুনের ছক কষে এবং একদিন অফিসে যাওয়ার আগে খাবারে বিষ মিশিয়ে সে অফিসে চলে যায়। তারপর তার মা ও বোন অসুস্থ হওয়ার খবর পায় সে। কিন্তু বাড়ি ফিরে এসেও তাদেরকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে অজ্ঞান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল সে। পরবর্তীকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সাইনাথের মা ও বোনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তারপর যুবকরা নিয়মমাফিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনের কোথাও গিয়ে সন্দেহ লাগে। তাই তারা সাইনাথকে চেপে ধরে এবং চাপের মুখে পড়ে সত্যি স্বীকার করে সে। পরবর্তী সময়ে গতকাল, রবিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে টাকে। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সে। পুলিশের তরফ থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।