এবার কি তাহলে আপনার সম্পত্তি এবং সোনার মত কিছু মূল্যবান সম্পদকে প্যান কার্ডের মত আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে? সম্প্রতি এই নিয়ে শুরু হয়েছে শুনানি। দিল্লি হাইকোর্ট সোমবার সমস্ত স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির নথি আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করার আবেদন নিয়ে অর্থ মন্ত্রক এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের মতামত জানতে চেয়েছে। প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি যশবন্ত বর্মার একটি বেঞ্চ গ্রামোন্নয়ন এবং আইন মন্ত্রকের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে।
আদালতে ২০১৯ সালে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি এই মুহূর্তে চলছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। সোমবার বিষয়টি শুনানির জন্য এলে আদালত রেজিস্ট্রি আবেদনে কিছু ত্রুটি খুঁজে পায়। আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে এই সম্পর্কে জবাব দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেছেন, এই মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে।
উপাধ্যায় সম্পত্তিকে আধারের সাথে যুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, এটা করলে দুর্নীতি, কালো টাকা এবং বেনামী লেনদেনকে রোধ করা যাবে। তিনি বলেছেন, সরকার সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে দুর্নীতি এবং কালো টাকা রোধে এবং বেনামী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। তিনি বলেছেন যে মালিকের আধার নম্বর এর সাথে স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি লিংক করা এই বিপদকে রোধ করার একটি যোগ্য জবাব হতে পারে। তিনি আরো বলেছেন, এর ফলে কালো টাকার উৎপাদন অনেকটাই বন্ধ হবে এবং আধারের সাথে সম্পত্তির লিংক হলে বার্ষিক বৃদ্ধি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।