গতকালই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়া হুটমোড়া হাইস্কুলে একটি জনসভা করেছিলেন। সেই জনসভায় কার্যত জনপ্লাবনে ভেসে গিয়েছিল গোটা এলাকা। দূরদূরান্ত থেকে তৃণমূল কর্মীরা এসে শাসক শিবিরের জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা আসতে গিয়ে বাস থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক যুব তৃণমূল কর্মীর। সে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আসার জন্য তার বসতি বাগমুন্ডি বুরদা থেকে বাসে উঠে। তারপর সভাস্থলে পৌঁছালে বাস থেকে নামতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে।
ঘটনা জানার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনা ঘটার পর বুধবার বিকেলের মধ্যে যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ মৃত যুব তৃণমূল কর্মীর পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাঠিয়ে দেয়। সেই টাকা দিতে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ওই যুব তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। জানা গিয়েছে ওই যুব তৃণমূল কর্মীর নাম বেঞ্জামিন স্যান্ডিলের। তার বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মৃত যুব তৃণমূল কর্মীর মেয়ের লেখা পড়ার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছে শাসকদল বলেই জানিয়েছে সভাধিপতি।
পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি তথ্য ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মদক্ষ গুরুপদ টুডু বলেছেন, “আমাদের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুব তৃণমূল কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দু লক্ষ টাকা সাহায্য করেছেন। এছাড়া ওই কর্মীর কন্যার লেখাপড়া সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। দলের তরফ থেকে ওই পরিবারের যা প্রয়োজন সব মেটাবে শাসক দল।”