করোনা মহামারির কারণে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে প্রায় ২ মাস হতে চলেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে জারি হয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন। এই লকডাউনের কারণে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এমনকি একইসঙ্গে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও।
ফলে প্রশ্ন উঠেছে লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে। এই সময়ের মধ্যেই সামনে এসেছে গরীব খেটে খাওয়া মানুষগুলোর অবর্ণনীয় দুর্দশার চিত্র। তবে, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে লকডাউন জারি করা ছাড়া যে আর কোন উপায় ছিল না তা বারবার স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই লকডাউনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে দাবি করেছে সরকার। ফলে প্রাণ বেঁচেছে কয়েক হাজার মানুষের।
সরকারের দাবিকে স্বীকৃতি দিল নীতি আয়োগও। শুক্রবার নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে সদস্য বিনোদ পাল একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, ২৫ শে মার্চ থেকে লকডাউন না জারি করলে প্রথম ২ দফা লকডাউনের সময়কালের মধ্যে অন্তত ২৯ লক্ষ দেশবাসীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেত ৭৮ হাজার।
লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে নীতি আয়োগের এই সদস্য বলেন, ‘এই তথ্য মূলত প্রথম ২ দফার কার্যকারিতা নিয়ে সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষাতে প্রায় একই ধরনের তথ্য উঠে এসেছে। এবং এই সংস্থা গুলো প্রত্যেকেই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, লকডাউনের কারণে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে দেশে।’