২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপিতে টলিউডের তারকাদের উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছিল। তবে নির্বাচনের পরের ছবিটা পুরো আলাদা। কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় আর তনুশ্রী চক্রবর্তী। এছাড়া মুকুল,বাবুল, আর রাজীব বিহীন পদ্মশিবির। এত গুলো ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই ফের বিজেপিতে নতুন ভাঙনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যেই হয়েছে মোহভঙ্গ। এবার গেরুয়া শিবির ছাড়তে চলেছেন টলিউড অভিনেত্রী। এই ভাঙন যে বিজেপির কাছে যে বড় ধাক্কা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে হেস্টিংসের বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বনি সেনগুপ্ত যোগ দিয়েছিলেন পদ্মফুল শিবিরে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে বনি বলেছিলেন, ‘আজ আমায় এই সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’ কিন্তু কাজ করার আগেই কাটল ছন্দ। যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন সেই তিনি আগেই ভিড়েছেন তৃণমূলে। সব মিলিয়ে বর্তমানে বেজায় চাপ আছে বাংলায় গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, বনির মা প্রিয়া সেনগুপ্ত ও তাঁর প্রেমিকা কৌশানি মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের অন্যত্ম সদস্য। শুধু তাই নয় কৌশানি বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে তৃণমূলের হয়ে টিকিটে লড়াইও করছেন। তাঁর বিপরীতে ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। কৌশানি মুকুলের কাছে হারলেও নিজের জিত উপভোগ করেননি দলবদলু মুকুল। তাই ফল প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই পুরানো দল তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়ও। আর কৌশানিও নিজের মতো করে দলের কাজ করছেন।
দিন যত যাচ্ছে ততই শক্তি ক্ষয় হচ্ছে বিজেপির। এবার বনি বিজেপি ছাড়ার পর তৃণমূলে যোগ দেন নাকি অভিনয় নিয়েই থাকেন সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে এই প্রসঙ্গে অভিনেতা মা পিয়া দেবী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন,ইতিমধ্যেই দল ছাড়ার কথা মৌখিক ভাবে বিরোধী শিবিরকে জানিয়েছেন বনি। তিনি আরো বলেছেন,বিজেপি-র সঙ্গের পরিবর্তে বনি মন দেবেন অভিনয়ে। এখন তাঁর হাতে অনেকগুলি প্রজেক্ট৷ এই সময়ে রাজা চন্দের নতুন ছবি ‘আম্রপালি’র শ্যুটিং এ বোলপুরে রয়েছেন। এছাড়া হাতে রয়েছে ব্যস্ত ‘জতুগৃহ’, ‘ছুটি’, ‘ধাঁধাঁ’, ‘হীরকগড়ের হিরে’। বনির এই সিদ্ধান্তে মা পিয়ার পাশাপাশি বান্ধবী কৌশানিও খুবই খুশি।