অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরাত জাহান কারণে-অকারণে চর্চায় থাকেন মিডিয়াতে। কয়েকসপ্তাহ আগে গোটা বসিরহাট এলাকাজুড়ে পোস্টার পড়েছিল যাতে লেখা ছিল নিখোঁজ অভিনেত্রী। এই পোস্টার রীতিমতো শোরগোল ফেলেছিল সেই এলাকাতে। তবে গত বৃহস্পতিবার এই সমস্ত গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে বসিরহাট কলেজের সংস্কার ও উন্নয়নের তদারকি করতে গিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, শনিবারেও একগুচ্ছ কাজ নিয়ে নিজের এলাকায় উপস্থিত ছিলেন তারকা সাংসদ।
সম্প্রতি অভিনেত্রীকে একেবারে বাঙালি সাজে খুন্তি হাতে মায়ের খিচুড়ি ভোগ রান্না করতে দেখা গিয়েছে। বাঁধা চুলে, আঁচল কোমরে গুঁজে ভোগ রান্নায় ব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। খোলাপোতা শ্মশান কালী মন্দিরে শনিবার বিকেলে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই মায়ের ভোগ রান্না করেছেন তারকা সাংসদ নুসরাত জাহান। সম্প্রতি সেই ভিডিওই প্রকাশ্যে এসেছে মিডিয়াতে। খুন্তি নাড়তে নাড়তেই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করতে দেখা গিয়েছে, তিনি পারছেন কিনা? যার উত্তরে সকলেই বলে ওঠেন, তিনি ঠিকঠাক করছেন।
উল্লেখ্য, তারকা সাংসদ নুসরাত জাহান টাকি পুরসভায় বৈঠকে গিয়েছিলেন গত শনিবার। সেখানে একটি সেলফি পয়েন্টের উদ্বোধনও করেছেন তিনি। সাধারণের কাছে টাকি অন্যতম ঘুরতে যাওয়ার জায়গা। সেলফি পয়েন্টের উদ্বোধন হওয়াতে এটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে সাধারণের কাছে, তা বলাই বাহুল্য। আর এদিন বিকেলেই তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন খোলাপোতা শ্মশান কালী মন্দিরে।
বসিরহাটের মথুরাপুর ও গোবিন্দপুর এই দুই এলাকার সংযোগস্থলে ১ বিঘা অবস্থিত ভদ্রকালী আধুনিক শ্মশান নতুন রূপে সেজে উঠেছে। মূল রাস্তা থেকে এই শ্মশান কিছুটা দূরে অবস্থিত হওয়ায় শ্মশানে যাওয়ার ঠিকঠাক রাস্তা পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে সেইসময় পাঁচ মুসলিম ভাই, নাসিরুদ্দিন মণ্ডল, ইয়ার আলি মণ্ডল, মাজেদ আলি মণ্ডল, রউফ মণ্ডল ও আসানুল্লা মণ্ডল নিজেদের জমি দান করেন শ্মশানে পৌঁছানোর রাস্তার জন্য। জমি দান করে তারা রীতিমতো নজির গড়েছেন। আর সেই শ্মশান কালী মন্দিরে মায়ের পুজোর উদ্বোধনেই ভোগ রান্নায় হাত লাগিয়ে চর্চায় তারকা সাংসদ।