সব জল্পনার অবসান! লক্ষীবারে লক্ষী না এলেও নারায়ণ এল নুসরত জাহানের ঘরে। বৃহস্পতিবার পার্কস্ট্রিটের ওম্যান ও চাইল্ড কেয়ার স্পেসালিটি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন। সি সেকশনের মাধ্যমে এল নুসরতের পুত্র। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সন্তান ও মা সুস্থ রয়েছেন। জানা গিয়েছে, নুসরতকে ওটিতে নিয়ে যাওয়ার সময়েও অভিনেত্রীরপাশে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। গত কয়েক মাস ধরে বহু বিতর্ক-সমালোচনা, কটাক্ষের পথ পেরিয়ে মা হলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। গত কয়েকদিন ধরেই অনুরাগীরা বিশেষ কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন যে, নুসরত কবে মা হবেন? আর অভিনেত্রীর কোল আলো করে কে আসবে।
এখন অভিনেত্রী বলতে পারবেন, তিনি এখন রাজপুত্রের মা। কিন্তু এই রাজপুত্রের বাবা কে এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানান তর্ক। কারণ অভিনেত্রীর প্রথম অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন তাঁর প্রাক্তন সহবাস সঙ্গী নিখিল জৈন। অবশ্য অভিনেত্রীও এই ব্যপারে স্পিকটি নট। এদিকে একবছর আগে নুসরত আর নিখিল একই ছাদের তলায় সুখে ঘর করছেন। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে একে অপরের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক নেই। এখন প্রশ্ন হল, নুসরতের প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈন তিনি এপ্রসঙ্গে কী বলছেন?
নুসরতের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিখিল এখন পুরোপুরি নিজের ব্যবসার কাজে মন দিয়েছেন। পাশাপাশি শরীর চর্চা করে তিনিও এখন নেটনাগরিকদের কাছে খুব প্রিয়। নুসরতের সাথে বিচ্ছেদের পর তাঁর ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যাও বেশ বেড়ে গিয়েছে। তবে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরে কী প্রতিক্রিয়া নিখিল জৈনের?কোনো বাজে কথা না বরং নুসরত ও তাঁর সদ্যজাত সন্তানের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা জানালেন। তবে এই শুভেচ্ছা ব্যক্তিগতভাবে নুসরতকে ফোন বা ম্যাসেজে নয়। বরং এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে নিখিল বলেন, ‘নুসরতকে আমি এ নিয়ে আলাদা করে ফোন বা যোগাযোগ করতে চাই না। যেহেতু ওর সঙ্গে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে কামনা করি, সুস্থ থাকুক ছেলে, সুন্দর করে বড় হয়ে ওঠুক। অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি’।
কয়েক মাসের বাধ্যধানে এই দুই মানুষের সম্পর্কের সমীকরণ পুরোপুরি পালটে দিয়েছে। এমনকি নুসরত নিজের এই বিয়েকে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান এই বিয়ে বৈধ নয়। নুসরত-নিখিল এখন পরস্পর পরস্পরের জীবনেই এখন ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’। নুসরতের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক ভুলে যেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘স্বামী’ নিখিল জৈন। তবে এই সম্পর্ক নিয়ে তিনি আর কোনো তিক্ততা রাখতে চাননা। বোধহয় মনের ভিতর পুষে রাখতে চান না তিনি।
তবে এই বিয়ের যেটুকু সুতো একে অপরের সাথে যুক্ত আছে তা নিখিল পুরোপুরি ছিন্ন করতে চান। ডিভোর্সের জন্য নিখিলের দায়ের করেছেন দেওয়ানি মামলা। তবে এই মামলার শুনানির তারিখ ছিল গত ১৮ অগস্ট। কিন্তু অভিনেত্রী এদিন নিজের মামলার জন্য আইনজীবী বদল করেন। সেই কারণেই পিছিয়ে যায় শুনানির তারিখ। এদিন উকিল পরিবর্তন করায় কোর্টে মামলা না ওঠায় আদালতের তরফে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর শুনানির নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে। এবার এখন এটাই দেখার নতুন মা আর প্রাক্তন সহবাস সঙ্গীর সঙ্গে আইনি জট থেকে মুক্তি হয়। কীভাবে কাটাবেন সেটাই দেখবার