এই অভিনেত্রীকে বাঙালী মা কাকিমা দুঃসাহসী মোহর বলেই জানে। যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দুবার ও ভাবেনা। নিজের পড়াশোনা করে মাথা উঁচু করে বাঁচবে বলে নিজের বিয়ে থেকে পালিয়ে কলকাতা আসে মোহর। তারপর কলেজে পড়তেই পড়তেই নিজের শিক্ষকের প্রেমে পড়েন। এই নিয়ে ধারাবাহিক চলে। কলেজের অধ্যাপকের সাথে কলেজ পড়ুয়ার প্রেম। শঙ্খ আর মোহরের প্রেম, ভালোবাসা, ঝগড়া আর খুনসুটি দেখতে পছন্দ করেন বহু বাঙালি দর্শক।
তবে সবচেয়ে বেশি পছন্দ মোহরের জীবনের এই সংগ্রাম। মোহরের আসল নাম সোনামনি সাহা। দেবী চৌধুরানী ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। প্রথম সিরিয়ালে অভিনয় করেই বেশ জনপ্রিয় হন সোনামনি। এই ধারাবাহিক শেষ হতেই পরের দজন শুরু হয় মোহর। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই টেলিভিশন জগতে সকলের প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠেছেন সোনামনি সাহা।
সোনামনি দুই ধারাবাহিকে অভিনয় করে হিট হলেও এই গ্ল্যামার জগতে পা রেখেছে র্যাম্প ওয়ার্ক করে। এবার ধারাবাহিকের পাশাপাশি নতুন ফটোসেশানে তাক লাগিয়ে দেন। ভারতীয় সাজের সাথে সাথে ভওয়েস্টার্ন লুকেও হিট সোনামণি। টলিউডের সকল অভিনেত্রীর প্রিয় ফটোগ্রাফার রুদ্র সাহার। এবার এই ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায় লেন্সবন্দী হলেন পর্দার মোহর। রুদ্রের ইন্সটাগ্রামে বেজে উঠেছে, ‘আও হুজুর তুমকো সিতারো মে লে চলু….’, এই কথাই যেন কানে কানে বলছেন সোনামণি সাহা সকল নেটিজেনদের।
মোহরের এই সাজ কোনো মহারাণীর থেকে কম নয়। সাদা-কালো-লাল রঙের কম্বিনেশন সুন্দর এক লেহেঙ্গা, সঙ্গে কালো চোলিতে মোহময়ী হাসি। গলায় ঝুলছে কুন্দরের ভারী হার, কানে ঝোলা দুল, খোলা চুল আর নিউড মেক আপ। নায়িকার কপালে ছোট্ট লাল টিপ, আলতা রাঙানো হাত আর মাথার সিঁথি ভর্তি লাল সিঁদুরে সাজলেন। অভিনেত্রীর এই সাজ বহু পুরুষ মনে জায়গা করে নিয়েছে। নববধূ রুপে পাওয়া গেল শঙ্খ স্যারের প্রিয় মোহরকে।
এই ছবি দেখলে যে কেউ বলে উঠবে আফরিন আফরিন। সোনামনি ওরফে মোহর নিজের এই মোহময়ী মহারাণী অবতারের একটি ফটোসেশান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সোনামণি লিখেছেন, ‘সাদা-কালো একটা অদ্ভূত মায়াবী আর স্বপ্নের দৃশ্য সৃষ্টি করে যা রঙ তৈরি করতে পারে না’। এরপর অনুগামীরা ভালোবাসা জানিয়েছেন। হাজার হাজার অনুগামী ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই মহারাণী সাজের পোস্ট।