স্টার জলসার ‘মা’ ধারাবাহিকের সেই ছোট্ট ঝিলিককে মনে আছে? সেই শিশুশিল্পী যার টানে বাঙালি রীতিমতো স্নান-খাওয়া ভুলে টেলিভিশনের পর্দার সামনে বসে থাকত। ঝিলিকের কষ্টে কেঁদে উঠতো হাজার হাজার মা কাকিমা। ঝিলিক ওরফে তিথি বসুর অভিনয়ে যেমন মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের তেমনি তার মাকে কাছে না পাওয়ার দুঃখ, কষ্ট গভীরভাবে স্পর্শও করেছিল বাঙালি দর্শককে। আবার ঝিলিক যখন নিজের মাকে খুঁজে পায় তখন দর্শক ও আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছে।
তিথি মা ধারাবাহিকের আগে শিশুশিল্পী হিসেবে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। তিথির প্রথম কাজ ছিল সুপারস্টার প্রসেনজিত ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত “বন্ধু” সিনেমা। বাংলাদেশের সিনে জগতে ডেবিউ করেন ‘হৈমন্তী’ টেলিফিল্ম দিয়ে। শেষবার অভিনেত্রী স্টার জলসার ‘ময়ূরপঙ্কী’ ধারাবাহিকে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ধারাবাহিকে বিশ্বনাথের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীকালে পড়াশোনার চাপে নিজেকে অভিনয় জগৎ থেকে সরিয়ে নেন তিথি। ।
ছোট বেলা থেকেই অভিনয় ছাড়াও একটু আধটু মডেলিং এর শখ রয়েছে তিথির। মাঝে মধ্যে নানান বিজ্ঞাপনের শ্যুট করে থাকেন তিথি। নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেশ ভালো ভাবে সক্রিয়। তাই নিজের ইন্সটাগ্রাম পেজে মাঝে মধ্যেই নিজের বোল্ড এন্ড হট ফটোশুটের ছবি শেয়ার করে থাকেন তিথি। তিথির ফলোয়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবু মাঝে মাঝে নিজের স্থুলকায় চেহারার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নানান ভাবস সমালোচিত হন। কিন্তু তবে সেই সব ছবির কমেন্টে কিছু না বললেও সমালোচনার মোক্ষম জবাব এবার দিলেন অভিনেত্রী।
এক্কেবারে নিজের সব মেদ ঝরিয়ে সেক্সি লুকে তিথি বসু ছবি দিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আগের আর এখনের দুটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন,সেখান থেকে এই দিকে (ডানদিকে সোয়াইপ) যাত্রা সহজ ছিল না কিন্তু অবশ্যই ফলপ্রসূ। আমি দেখেছি মানুষ আমাকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করছে, আমি দেখেছি মানুষ আমাকে ঠাট্টা করছে কিন্তু এই সব জিনিস অবশ্য আমাকে অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রান্তের দিকে ঠেলে দিয়েছে! সবাই জানে আমি চিরকালের জন্য কতটা ভোজনরসিক, কতটা।
তিনি আরো লেখেন,এখনও তিনি একইভাবে খাদ্যপ্রিয়। তিনি খনও সেই অতিরিক্ত পাউন্ড রাখার বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, তাই যখন তিনি অনেক কিছু খান, তখন তিনি তার চেয়েও বেশি কাজ করি! তিনি সময়ের সাথে সাথে এই একটি জিনিস শিখেছি যে তিনি যা ভালবাসেন তা কখনই ছেড়ে দেবেন না!তিনি তার একক খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করেননি। এখনো ভালো ফলাফল আসতে দেরি আছে। এখন শুধু খাওয়ার মতো, প্রতিদিন কাজ করাও তার কাছে একটি নেশা! এমন কিছু যা তিনি ছাড়া করতে পারেন না! তারা যেমন বলে, গন্তব্যের চেয়ে যাত্রাটা অনেক সুন্দর! তিনি এখনও এই যাত্রার একটি অংশ এবং তিনি এটা ভালবাসেন। তিনি আরও লিখেছেন, তিনি গিয়ে এখনো চকলেট খাবেন। এরপর অনুগামীরা ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।