ঘটেছে সমস্ত জল্পনার অবসান। এইদিন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। এইদিন দুপুর ৩.৩০ নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছান প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। নিজের হাতে নিজের ইস্তফাপত্র লেখেন তিনি। সংবিধানের ২০৮ ধারা অনুযায়ী পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এইদিন যখন তিনি বিধানসভায় আসেন তখন সেখানে ছিলেন না। সেই কারণে রিসিভ সেকশনে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন শুভেন্দু। তার পর তিনি পদত্যাগ পত্র ইমেল করেন অধ্যক্ষকে। তবে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ হবে কিনা সেই বিষয়ে ভেবে দেখবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ইস্তফাপত্র দেখালেও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি শুভেন্দু। বরং সোজা বেরিয়ে গিয়েছেন বিধানসভা থেকে নিজের গাড়িতে। এইদিন শুভেন্দুর সাথী হিসেবে দেখা গিয়েছে পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে স্পীকারের হাতে ইস্তফা পত্র দিলে তা গ্রহণ করতে বাধ্য তিনি, শুভেন্দু তা না দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে তার ইস্তফাপত্রকে নিয়ে।
তৃণমূলের একাংশের সাথে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল শুভেন্দুর মনে। তবে তার মানভঞ্জনের কাজ গিয়ে পড়েছিল সাংসদ সৌগত রায়ের ওপরে। এই দিন সৌগত রায় বলেছেন,”বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন শুভেন্দু। পদের লোভে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। সব পদ তাকে দেওয়া সম্ভব না। আমরা আগেই বলেছি সে এখন ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’।
সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে কাল দিল্লী যাবেন শুভেন্দু। সেখানে ১৮ তারিখ তিনি বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে। তারপর ১৯ তারিখ শাহের সাথেই বাংলায় ফিরবেন শুভেন্দু। অনুমান করা হচ্ছে, এর পরই নয়া বার্তা দেবেন শুভেন্দু।
অন্যদিকে তার বিজেপিতে প্রবেশ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এইদিন তিনি বলেন,”শুভেন্দু অধিকারী দলে আসবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। দলে এলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো। তবে এটা পরিষ্কার যে তিনি দিদিমণির দলে আর থাকবেন না। একে একে দল ছেড়ে দিচ্ছেন দিদির ভাইয়েরা। এর মানে তাদের মধ্যেই কিছু সমস্যা আছে। তবে এই সব কিছুর পরও দিদি সব দোষ দেবেন বিজেপিকে।” তিনি আরও বলেন,” আমরা আমাদের কাজ করছি কেবল, কেউ যদি আমাদের লড়াইয়ে যোগ দেন তবে আমরা স্বাগত জানাবো।”
অন্যদিকে এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সহ সভাপতি মুকুল রায়কে। তার বক্তব্য,” আমি তো আগেই বলেছিলাম, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়লে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হল। আজ তাই হল। তবে তিনি বিজেপিতে আসবেন কিনা তা এখনও আমরা জানিনা। তবে আসলে স্বাগত জানাবো।”
অবশেষে বহু জল্পনার অবসান ঘটালেন শুভেন্দু। আগামীকাল তিনি দিল্লী যাচ্ছেন দিল্লীতে তিনি বৈঠক করবেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে। তার সাথে আছেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও।