Today Trending Newsকলকাতাপলিটিক্সরাজ্য

কয়েকঘন্টা পরই ব্রিগেড সমাবেশ, প্রস্তুতি তুঙ্গে

Advertisement

আর কয়েকঘন্টা পরই শুরু হতে চলেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের ব্রিগেড সমাবেশ। দূর-দূরান্ত থেকে কর্মী সমর্থকরা ইতিমধ্যেই অনেকে প্রস্তুত হয়েছে সেখানে। ত্রিফলা ব্রিগেড সমাবেশে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ঝড় বইয়ে দিচ্ছে বামেরা। টুম্পা সোনা, ফ্ল্যাশ মবের মতো অভিনব প্রচারেও খামতি রাখছে না বামসমর্থকরা। ব্রিগেডের ময়দানও সেজে উঠেছে চেন ফ্ল্যাগে। মঞ্চকেও বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে।

আজ, রবিবার একুশের ব্রিগেডে বক্তব্য রাখতে চলেছেন ১০ নেতৃত্ব। যার মধ্যে বামেদের থেকে রয়েছেন CPIM-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, CPI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, CPIM-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। এছাড়াও বক্তব্য পেশ করতে পারেন দেবব্রত বিশ্বাস, নরেন চট্টোপাধ্যায় আরও অন্যান্যরা। তবে বাম ছাত্র যুব-র পক্ষ থেকে এখনও কারও বক্তব্য রাখার কথা শোনা যায়নি। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে আজ প্রথম রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের যৌথ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের তরফে পাঠানো হয়েছে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে। আবার আইএসএফের তরফে আব্বাস সিদ্দিকির বক্তব্যের উপরেও নজর একাংশের। ব্রিগেডে সমর্থন জানালেও লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের ব্রিগেডে উপস্থিতির সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।

একুশের ব্রিগেডে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বামেদের অন্যতম নেতৃত্ব বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বামসমর্থক থেকে শুরু করে বাম নেতানেত্রীরা আনতে চাইলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার দরুন তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব নয়। চিকিৎসকদেরও বারণ রয়েছে। তাঁকে যাতে অন্তত ভার্চুয়ালিও উপস্থিত করানো যায় সেই চেষ্টাতেও কোনও খামতি রাখেনি বামেরা। তবে এই মুহূর্তে তার পক্ষে সেটাও সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে। ফলে অগত্যা চিঠি দিয়েই আপাতত সাধ মেটাতে হয়েছে। গতকাল তাঁর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, ব্রিগেডের সমাবেশে উপস্থিত না থাকতে পারা তাঁর কাছে অকল্পনীয় একই সঙ্গে যন্ত্রণারও।

ত্রিফলা ব্রিগেডের প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গেও দূর দূরান্ত থেকে ব্রিগেডে আসা সমর্থকদের জন্যও খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সব সমর্থকদের বাড়িতে সেই রুটি ও তরকারি বানানোর প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। শুকনো খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্রিগেডে আসা কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে তার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

এই সমাবেশে ঐতিহাসিক ভিড়ের আশাই করছে বামেরা। বিমান বসুর দাবি ‘বুলগানিন-ক্রশ্চেভের ব্রিগেডের থেকেও বেশি ভিড় হবে।’ সেই মতো নেওয়া হচ্ছে বাড়তি প্রস্তুতিও। এর আগেও বিমান বসু অনেকবার দেখতে গিয়েছিলেন যে সব আয়োজন কতদূর, ঠিক মতো সব হচ্ছে কিনা। এই ব্রিগেড নিয়ে বামেদের বাড়তি উত্তেজনা কিছুটা হলেও চাঙ্গা করছে বাম সমর্থকদের।

Related Articles

Back to top button