দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে OTT প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘মির্জাপুর ৩’। পঙ্কজ ত্রিপাঠী, আলি ফজল, ইশা তলওয়ার, শ্বেতা ত্রিপাঠী শর্মা, বিজয় ভার্মা, রসিকা দুগ্গালের অভিনীত এই ওয়েব সিরিজটি রক্ত, নোংরা রাজনীতি এবং অ্যাকশনের দৃশ্যে ভরা। তবে মুক্তির পর থেকেই সমালোচক এবং দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে এই সিরিজ। অনেকে মনে করছেন, ‘মির্জাপুর 2’-এর তুলনায় ‘মির্জাপুর 3’ অনেকটা ফ্যাকাশে।
মির্জাপুর ২ এর ফিল নিয়েই শুরু হয় মির্জাপুর ৩
‘মির্জাপুর ২’-এর শেষে বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল দর্শকদের মনে। গুড্ডু ভাইয়ার কি হলো? কালিন ভাইয়া কতদিন লুকিয়ে থাকতে পারবে? এরপরের গল্প কেমন হবে? এই সব প্রশ্নের উত্তরই মিলেছে ‘মির্জাপুর ৩’-তে। কিন্তু অনেকের মতে, উত্তরগুলো তেমন আকর্ষণীয় হয়নি। অর্থাৎ, এই সিরিজ নিয়ে কিন্তু দর্শকদের মনে অনেক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া
টুইটারে ‘#Mirzapur3’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেকেই তাদের হতাশা প্রকাশ করছেন। গুড্ডু পণ্ডিত এবং গোলুর কিছু দৃশ্য নিয়ে বিশেষ করে সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, গোলুর অভিনয় ছিল অতিরঞ্জিত এবং অপ্রয়োজনীয়। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “গুড্ডু আর গোলুর এই দৃশ্যটা ভালো লাগেনি।” আরেকজন লিখেছেন, “লোকে বললো- গোলুর ওভারঅ্যাক্টিং সহ্য করতে পারছি না।” ‘মির্জাপুর’ ভক্তদের একজন লিখেছেন, “শুধু এই মেয়েটির কারণে মির্জাপুর থ্রি চালিয়ে যেতে পারিনি। সিরিজে তার ওভারঅ্যাক্টিং এবং অতিরঞ্জিত ছবিগুলি হাস্যকর। তার মুখের অভিব্যক্তি এবং সংলাপ ডেলিভারি একেবারেই সহ্যের বাইরে।”
কিছু ইতিবাচক মন্তব্যও আছে
তবে সবাই ‘মির্জাপুর ৩’-কে নাকচ করে দিচ্ছেন না। কিছু দর্শক মনে করছেন, সিরিজটি বিনোদনমূলক এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দারুন ছিল। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “মির্জাপুর ৩ ভালই ছিল। অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দারুন ছিল।” তবে মির্জাপুর ২ যেরকম উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল, সেরকম কিন্তু এই সিরিজ কোনোভাবেই করতে পারেনি। ফলে বলতে গেলে, ‘মির্জাপুর ৩’ একটি বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ। কিছু দর্শক এটিকে পছন্দ করেছেন, আবার কিছু দর্শক হতাশ।