এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রমণ জানা না গেলেও গতকাল রাতে নিশ্চিত খবর পাওয়া গিয়েছে এক যুবকের শরীরে মিলেছে কোভিড-১৯ এর নমুনা। ফলে তিনি বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া ওই যুবকের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন তার বাবা, মা ও গাড়ির চালক। তাদের বর্তমানে রাখা হয়েছে রাজারহাটে কোয়রান্টিনে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের মা নবান্নের কর্মরত পদস্থ আমলা। তিনি তার অফিসে কাজও করেছেন। যার ফলে সংক্রমণের ভয় থেকেই যাচ্ছে।
এমত অবস্থায় প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সরকারি অফিসে এবার করোনা আতঙ্কের ফলে জারি হয়েছে নতুন বিজ্ঞপ্তি। বুধবার থেকে বিকেল চারটের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে সরকারি অফিস। শুধুমাত্র যারা জরুরি পরিষেবায় যুক্ত তারা বিকেল চার’টের পর অফিসে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকাতেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা ছাড়া অন্য কর্মীরা আগামিকাল ১৯ মার্চ থেকে বিকেল চারটের পর অফিস ছাড়তে পারবেন।’’ ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলেন খোদ নবান্নের আমলা, ছেলের করোনা সংক্রমণে বিপদে গোটা বাংলা
গত রবিবার ওই যুবক লন্ডন থেকে রাজ্যে ফিরেছেন। তাকে বিমানবন্দর কতৃপক্ষ করোনা সংক্রমণের কথা জানিয়ে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিলে তিনি তা এড়িয়ে যান। এরপর তাকে বাঙুর হাসপাতাল থেকে একই নির্দেশ দেওয়া হলেও তা তিনি কর্ণপাত না করে উল্টে শপিং মল সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই যুবকের মা তার সংস্পর্শে আসার পরও পরদিন নবান্নে কাজ করেছেন। যার ফলে এবার সরকারি অফিসেও ভয়ের সঞ্চার হয়েছে।