সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কার্যত লকডাউন চলছে। বিশ্বের 202 দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বাদ যায়নি আমাদের দেশ ভারতবর্ষ , ভারতবর্ষে প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা জানিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেছে। ভারতে গত 24 ঘন্টায় 26 জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে। এর ফলে ভারতে করোনাভাইরাস এ মোট মৃত্যুর সংখ্যা 109 গিয়ে দাঁড়ালো। ভারতে করনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা 4067 বর্তমানে , এদের মধ্যে 292 জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বেশকিছু মানুষ করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ও আমাদের রাজ্য এই ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনাভাইরাস কে কেন্দ্র করে এমন কিছু কার্যকলাপ ঘটেছে যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
দেশ ও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বার্তা প্রতিনিধি প্রীতম দাস যোগাযোগ করেছিল রাজ্যের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী সুব্রত মুখার্জি সঙ্গে। তিনি এই ব্যাপারে তার ব্যক্তিগত মতামত আমাদের ভারত বার্তার প্রতিনিধিকে জানান।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর জন্য যে লকডাউন চলছে তা আগামীতে আরও বর্ধিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষদের আয় জায়গা কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আবার লক ডাউন ছাড়া এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় কোনো রাস্তা নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন বিদঘুটে পরিস্থিতিতে আপনি গোটা ব্যাপারটিকে কিভাবে দেখছেন ? সামনের দিনে কি আমরা কোন খারাপ চিত্রপটে সাক্ষী হতে চলেছি না তো ?
সুব্রত মুখার্জি : দেখুন আমি পলিটিক্স করি। জ্যোতিষী বা কোন বিজ্ঞানীও নই। সাধারণভাবে আমি এটাই বলতে পারি , এখন এই মুহূর্তে লকডাউন হচ্ছে এই ভাইরাসের সাথে মোকাবিলা করার একমাত্র হাতিয়ার। যত কষ্টই হোক এটা আমাদের মানা উচিত। অনেক দেশে এই লকডাউন অনেকদিন ধরে তারা করেছে। আমাদের এই ঘোষণার বিভিন্ন পদ্ধতি হবে যাতে গরীবরা বেচে থেকে এটি করতে পারেন। লকডাউন কতদিন হবে সেটা আমি বলতে পারব না ! কিন্তু লকডাউন কে একেবারে আমি উড়িয়ে দিই না কারণ এই ভাইরাসের এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। এখন তারপরে দেখা যাক কি হয় ! এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা।
আমরা দেশের বেশ কিছু প্রান্তে দেখেছি পুলিশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনকে কোয়ারান্টিনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে তাদের উপর থুথু ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে এই ধরনের অমানবিক মানসিকতা কে নিয়ে আপনি কি বলতে চাইবেন ?
সুব্রত মুখার্জি : আমাদের দেশের সব মানুষ এখনো মানুষ হয়নি। আগের চাইতে হয়তো অনেক উন্নত হয়েছে কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা নিয়ে অনেক মানুষ এগোয়নি ! যার জন্য এই ধরনের কাণ্ডকারখানা , অসামাজিক কাজকর্ম করে ফেলছে।
লকডাউন চলছে তার সত্বেও আমরা বেশ কিছু জায়গায় দেখছি মানুষ অকারণে নিজেদের এলাকায় বা পাড়ায় বেরোচ্ছে। মানুষের কোথাও কি একটা সচেতন ও তার বড় অভাব রয়েছে বলে আপনি মনে করছেন ?
সুব্রত মুখার্জি : সচেতনতার অভাব , এটা তো কেউ কারোর জানা নেই। ফলের নানা রকম এর বিরুদ্ধাচরণ করে ফেলছে।
করোনাভাইরাস কে কেন্দ্র করে বহু মানুষ এখন ভীত, সন্ত্রস্ত। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আপনি সমাজের উদ্দেশ্যে কি অভয় বার্তা দিতে চাইবেন ?
সুব্রত মুখার্জি : অনেক সেক্রিফাইস করে এই ভাইরাসের সাথে মোকাবিলা করতে হবে। এর নির্দিষ্ট ওষুধ যতক্ষণ না বেরোয়।
লক ডাউন এর সময় আপনি ব্যক্তিগতভাবে কিভাবে নিজের সময় ব্যয় করছেন ?
সুব্রত মুখার্জি : আমি প্রথম থেকে এলাকায় বের হচ্ছিলাম। যারা গরীব , দুঃখী তাদের পাশে দাঁড়াছিলাম বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যেমন মাস্ক , চাল , ডাল ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী। বস্তি এলাকার লোকেদের কাছে যাবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে সেটা আমি বন্ধ করে দিয়েছি। এখন আর তেমন বের হচ্ছিনা।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : প্রীতম দাস