ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বর্তমানে ভারতে বেশিরভাগ জায়গায় ডিজিটাল পেমেন্ট অপশন চালু হয়ে গিয়েছে। তবে ডিজিটাল পেমেন্ট চালু হলেও কোনদিনই নগদ অর্থের ব্যবহার বন্ধ হবে না, এটা নিশ্চিত। ভারতে ছোট ও বড় মাপের বেশ কয়েকটি কারেন্সি নোট রয়েছে যা বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। আপাতত ভারতে ১০,৫০, ১০০, ২০০, ৫০০, ২০০০ ইত্যাদি কারেন্সি নোট ব্যবহার হয়ে থাকে। ভারতের ইতিহাসের মত কারেন্সি নোটের ইতিহাসও অনেক পুরনো ও রহস্যে মোড়া। ২ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে টাকার। এই টাকার অনেক অজানা তথ্য এখনও জানা নেই অনেকের।
বর্তমানে বাজারে নতুন ও একটু ছোট ও বেগুনী রঙের ১০০ টাকার নোট দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে পুরোনো বড় নোটও রয়েছে। সেই নোটের পেছনে আঁকা রয়েছে বরফাবৃত পর্বতশঙ্গ। সামনে রয়েছে গান্ধীজির ছবি। নোটের পেছনে যে পাহাড়ের ছবি রয়েছে সেটি কোন পাহাড় ও কেন ওই পাহাড়ের ছবি ব্যবহার করা হয়? এই তথ্য হয়তো অনেকেই জানেন না। জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পুরোনো ১০০ টাকার ভারতীয় নোটের পিছনে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি রয়েছে। নোটটিতে যে ছবিটা দেখা যাচ্ছে সেটি হল কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের চূড়া। নোটের ছবির সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে মিলিয়ে দেখলেই সেটি বোঝা যাবে। এই ছবিটি সিকিমের পেলিং থেকে তোলা হয়েছে। সিকিম এবং দার্জিলিংয়ের স্থানীয় লোকেরা একে পবিত্র মনে করে পুজো করে। সেই কারণেই ১০০ টাকার পুরোনো নোটে এই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।