একটি মিডিয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি করেছিলেন এবারের নির্বাচনে মহিলারা হবেন গেম চেঞ্জার। এবং মহিলাদের ট্রাম কার্ড এর উপর নির্ভর করে কন্যাশ্রী এবং রুপশ্রীর মত প্রকল্পের জোরে খেলা ঘুরিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাশাপাশি, বাহিরের মহিলাদের নামেই দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। তার সাথে যদি তারা ভোটে যেতে তাহলে মহিলাদের মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা হাতখরচ দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মমতা আত্মবিশ্বাসী, মহিলাদের ভোট তার দিকে যাবে।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, এবারের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে বিজেপি যদি জয়লাভ করে তার অন্যতম কৃতিত্ব থাকবে মহিলাদের। বুট বাক্সে বিজেপি এই সুফল পাবে বলেই আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ। অমিত বলেছেন, “আমার মনে হয় এবারের বিজেপি’র জয়ের অন্যতম প্রধান ভূমিকা হবে বাংলার মহিলারা। যখনই কোন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে সবথেকে বেশি যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় মহিলাদের। যখন দারিদ্র বাড়ে, যখন অরাজকতা দেখা দেয় তখন সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় মহিলাদের। গোটা বাংলা ৩৩ শতাংশ এলাকায় ক্ষতিকারক ফ্লোরাইডযুক্ত জল পৌঁছায়।
কিন্তু বাংলায় গঙ্গা যমুনার পুরো জল এখান থেকেই যায়। ভূগর্ভের মাত্র সাত ফুট নিচে জল রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু এখনো পশ্চিমবাংলায় পরিস্রুত পানীয় জল দেবার ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেছেন, “শৌচালয় মোদীজি তৈরি করে দিয়েছেন। বাড়ির ছাদ ব্যবস্থার মোদীজি তৈরি করেছেন। এবারে পরিস্রুত পানীয় জল মোদীজি দেবেন। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারটা মোদীজি দিচ্ছেন। ঝুপড়ি ঘরে ধোঁয়া নেই তার কারণ শুধুমাত্র মোদীজি। মোদীজি ভবিষ্যতে তাদের স্বাস্থের খেয়াল রাখবেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যি মহিলাদের চিন্তা করতেন, তাহলে হয়ত আজকে এই দিনটা দেখতে হতো না।”