একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণোদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। এরইমধ্যে বাংলায় গেরুয়া শিবির তাদের বিশ্বস্ততা প্রমাণ করতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলাতে আসছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলাতে এলেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিটিং মিছিল করল খুব একটা সুফল হচ্ছে না বলে মনে করছে তারা। কিন্তু সবকিছুর মাঝে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প সুপার হিট। এতে মোদি সরকার খুব ভালভাবেই বুঝে গিয়েছেন বাংলার মানুষের ভোটব্যাঙ্ক পেতে হলে মিটিং মিছিল করে লাভ নেই। যেতে হবে বাংলার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে।
কিছুদিন আগে বাংলা সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এটা বুঝে গিয়েছিলেন যে বাংলার মানুষের দুয়ারে যাওয়াটা অত্যন্ত আবশ্যক। তাই বাংলায় সফর শেষে গভীর রাতে অমিত শাহ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও স্বপন দাশগুপ্ত এর সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সহ বাংলায় গেরুয়া শিবিরের রাজনীতি সম্পর্কে একটি সুদৃঢ় প্ল্যান তৈরীর চেষ্টা করেছেন। সেই সাথে বাংলা পরিবর্তন যাত্রা নিয়ে তিনি আগামী দিনের জন্য ছক কষেন।
এছাড়া এদিন বৈঠক করার পর অমিত শাহ বলেছেন যে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে আলাদা করে মোট ৪২ টি জনসভা করবে বিজেপি যাতে উপস্থিত থাকবেন কোন না কোন কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া মোট ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আয়োজন হবে মাঝারি মাপের জনসভা যাতে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের নেতারা। এছাড়া প্রতিটি বুথ অঞ্চলে ছোট ছোট আলোচনা সভা ও পথসভা আয়োজন করতে হবে। এছাড়াও গোটা রাজ্য জুড়ে গেরুয়া শিবির কর্মীদের সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে তাদের অসুবিধার কথা জানা ও তার সমাধান করার ওপর বেশি করে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসলে শাহের কাছে এটা স্পষ্ট যে বাংলার মানুষের সান্নিধ্য পেতে গেলে তাদের দুয়ার যেতে হবে।