অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লিভিং লেজেন্ড। কারণে অকারণে মিডিয়া কিংবা নেটদুনিয়ার পাতায় চর্চায় থাকেন তারা। ৪৯ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। নানা ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়েই নিজেদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তারা। বিয়ের একবছর পরেই জন্মেছিলেন তাদের মেয়ে শ্বেতা বচ্চন। তার দু’বছর পরে তাদের ঘরে এসেছিলেন অভিষেক। বর্তমানে তারা দুজনেই প্রতিষ্ঠিত। অভিষেক বচ্চন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। প্রেম, ভালবাসা, মান-অভিমানকে সাথে নিয়েই এখন তারা সময় কাটাচ্ছেন নাতি-নাতনিদের সাথে, যাদের ভালো ইংরাজিতে বলে এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলি। তবে সম্প্রতি একেবারে একটি ভিন্ন কারণের সূত্র ধরে নেটদুনিয়ায় একাংশের মাঝে চর্চিত এই দুই লিভিং লেজেন্ড।
১৯৮২ সালে ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয়ের সময় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। বেশ দীর্ঘসময় ভর্তি থাকতে হয়েছিল হাসপাতালেও। তবে সেইসময় অভিনেতার চোট পাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই স্ত্রী জয় বচ্চন দৌড়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা। ফিরে এসেছিলেন অভিনয় জগৎ-এও। এই গল্প জানা অভিনেতার ভক্ত থেকে সাধারণ সকলেরই। তবে এই গল্পের পিছনেও রয়েছে আরো এক অজানা গল্পের সন্ধান। এই মুহূর্তে সেই অজানা গল্পের সন্ধানই মিলেছে, যা শুনলে রীতিমত অবাক হতে হয়।
জানা গেছে, জয়া বচ্চন যখন অভিনেতার চোট পাওয়ার কথা জানতে পেরেছিলেন তখন, তার হাতে ছিল একটি হনুমান চল্লিশা। তিনি অভিনেতার ছোট পাওয়ার কথা শুনে সেই হনুমান চল্লিশা হাতে নিয়েই ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে অভিনেতার কাছে। সেইসময় তাকে সুস্থ করার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন সমস্ত চিকিৎসকরাই। তবে চিকিৎসায় সারা মিলছিল না অভিনেতার। এমত অবস্থায় চিকিৎসকরা অভিনেত্রীকে জানিয়েছিলেন, এখন তার প্রার্থনাই শেষ ভরসা।
সেদিন অভিনেত্রীর হাতে হনুমান চল্লিশা থাকলেও সেটি পড়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তবে মন থেকে চেয়েছিলেন যাতে অভিনেতা সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর তার সেই প্রার্থনা বিফলে যায়নি। হঠাৎই চিকিৎসায় সারা দিতে শুরু করেছিলেন অভিনেতা। সেই বিষয়টি প্রথম নজর করেন জয় বচ্চন নিজেই। চিকিৎসকদের ডেকে আনলে তারা পুরো ব্যাপারটিকে অলৌকিক হিসেবেই গণ্য করেছিলেন। এমনকি অভিনেতা নিজেও নিজের সুস্থ হয়ে ওঠাকে নিজের দ্বিতীয় জন্ম হিসাবেই ধরে নিয়েছিলেন। সম্প্রতি এই পুরনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিডিয়ার পাতায় আবারো চর্চা শুরু হলেও, এই ব্যাপারটির ঠিক কতটা বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে! তা যাচাই করা হয়নি।