বুধবার দুপুর থেকেই নিজের শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে এসেছে ভয়ঙ্কর আমফান। আড়াইটার পর থেকেই স্থলভাগে প্রবেশের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে আমফান। বাংলার মাটিতে নিজের ক্ষমতা জাহির করেছে। মারাত্মক ঝোড়ো হাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল করেছে বাংলার মানুষকে। কলকাতা শহরও বাদ যায়নি এর প্রভাব থেকে। ইতিমধ্যে মহানগরের রাস্তায় গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর আসছে। বিকেল ৫ টা থেকেই সন্ধ্যা নেমে এসেছে মহানগরীতে। ঘরবন্দি শহরের মানুষ।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে সন্ধ্যা থেকেই তেজ বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে গোটা রাজ্যেই অন্ধকার নেমে এসেছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। জানা গেছে, ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে চলেছে কলকাতার উপর দিয়ে। আয়লার থেকেও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে চলেছে আমফান। পুরসভা অফিস থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও।
মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলা। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। আশঙ্কায় তটস্থ শহরবাসী নিজেদের নিরাপদে বন্দি রেখেছেন ঘরে। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের চোখ স্থলভাগে প্রবেশ করলে, তখনই বোঝা যাবে এর ভয়াবহতা, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই চোখের বিস্তার প্রায় ৪০ কিমি বলে জানা গেছে। আমফানের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা।