ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে এই ঝড়ের গতি। বর্তমানে ঘন্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বর্তমানে আমফান ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে যথাক্রমে ৫৭০ এবং ৭২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, ১৯ তারিখ থেকে ২১ তারিখ এই দুদিন এই ঝড়ের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি থাকবে। ১৯ তারিখ অর্থাৎ আজ দুপুরে আড়াইটার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি হবে। ঘন্টায় ২৪০-২৫০ কিলোমিটার বেগে হবে আজকে ঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ২৭৫ কিলোমিটার।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আমফানের গতিপথ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে হচ্ছে ক্রমশ। রাজ্যের দিঘা এবং হলদিয়ার মধ্যে এটি বুধবার রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। আজ বিকেল ৫.৩০ মিনিটে এই ঘূর্ণিঝড় থাকবে ১৫ ডিগ্রি ৯ মিনিট অক্ষাংশ ও ৮৬ ডিগ্রি ৭ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। তখন এর গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ২৪০-২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। আজ রাত ১১টায় এই ঘূর্ণিঝড় ১৭ ডিগ্রি ১ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে থাকবে, সেইসময় গতি কিছুটা হারিয়ে ২২৫-২৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হতে পারে। এরপর বুধবার রাত ১১টায় এর গতি হবে ১৮০-১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। ২১ তারিখ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় ধীরে ধীরে গতি হারাবে, এবং অতিগভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
আমফানের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশাতেও পড়বে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। সেখানে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে এনডিআরএ টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। সবাইকে ঘরেই থাকতে বলা হচ্ছে। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএ টিম।