কোন না কোন কারণে বলিউডের তারকারা চর্চায় থাকেন মিডিয়াতে। তাদের জীবনের যেকোন ঘটনাই মিডিয়াতে চর্চায় উঠে আসার জন্য যথেষ্ট। অমৃতা সিং নিজেদের সময়ের একজন জনপ্রিয় প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন। অভিনয় সূত্রেই সাইফ আলি খানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। ৬ মাসের মধ্যেই নিয়েছিলেন বিয়ের সিদ্ধান্ত। বাড়ির সকলের অমতেই করেছিলেন বিয়ে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মনোমালিন্য।
১৯৯১ সালে সাইফ আলি খানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অমৃতা। তবে তাদের এই সম্পর্ক খুব বেশিদিন টেকেনি। ২০০৪ সালেই একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যান তারা। অমৃতা সিং ও সাইফ আলি খানের দুটি সন্তান রয়েছে সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান। বিবাহ বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী তার দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। তবে বাবা মা হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব তারা ঠিকই পালন করেছিলেন এবং এখনো করছেন।
তবে কেন ভেঙেছিল তাদের বিয়ে? এই প্রশ্ন এখনো রয়ে গিয়েছে অনেকের মনেই। আসলে কেরিয়ারের একেবারে পিক টাইমে তিনি শুধুমাত্র অভিনেতার সাথে সংসার করার জন্য স্যাক্রিফাইস করেছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত সেটা বুঝতে পেরেছিলেন অভিনেত্রী। যার জন্যই বেরিয়ে এসেছিলেন সম্পর্কটা থেকে। পাশাপাশি বয়সটাও একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের সম্পর্কে। সাইফ আলি খানের থেকে ১৩ বছরের বড় ছিলেন অমৃতা সিং। যার জন্য তাদের মতের মিল হতো না বিয়ের পর থেকেই। মনোমালিন্য বেড়ে যায় দিন দিন।
অভিনেতার থেকে কিছুটা বয়সে বড় ছিলেন তাই সেভাবে কোনদিনই তাকে আটকাননি তিনি। কারণ তার মতে, সেই বয়সটা অভিনেত্রী আগেই পেরিয়ে এসেছিলেন। তবে পাশাপাশি অভিনেত্রী এও জানিয়েছিলেন, তিনি একেবারে আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই ব্যবহার করতেন সাইফের সাথে। ঝগরা করতেন, রাগ করতেন, কান্নাকাটিও করতেন।
এই বিয়েতে কেউই খুশি ছিলেন না। এক সাক্ষাৎকারে সারা আলি খান জানিয়েছিলেন, তার মা ঐ সম্পর্ক থাকাকালীন বেশ কয়েকবছর হাসা ভুলে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তার কোনো আফসোস নেই কারণ তার মতে, দুই বাড়িতে তার বাবা-মা আলাদা আলাদা ভাবে খুশি রয়েছেন এটাই তার কাছে অনেক।
অভিনেতার সাথে বিচ্ছেদের পর পুনরায় বিয়ের ঝামেলায় জড়াননি অমৃতা সিং। তবে সাইফ আলি খান কারিনা কাপুর খানের সাথে বিয়ের পর সুখী সংসার যাপন করছেন। তাদেরও দুটি সন্তান তৈমুর আলি খান আর জাহাঙ্গীর আলি খান। বর্তমানের উঠতি জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারা আলি খানকে, প্রায়ই বাবা সাইফ-কারিনার সাথে দেখা যায়। বিচ্ছেদের পরেও অমৃতা এবং সাইফ দুজনেই তাদের বাবা-মায়ের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।