Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ‘গুরুত্ব’ না পেয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, বললেন পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’

বারবার সামনে আসছে রাজ্য–রাজভবন দ্বৈরথ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা হওয়ার পর আরও একবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শনিবার রাতে টুইট করে রাজ্যপাল বলেন, উদ্বেগজনক…

Avatar

বারবার সামনে আসছে রাজ্য–রাজভবন দ্বৈরথ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা হওয়ার পর আরও একবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শনিবার রাতে টুইট করে রাজ্যপাল বলেন, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। প্রশ্ন তোলেন, এ রাজ্যে কি জরুরি অবস্থা চলছে? টুইটারে লেখেন, ‘এই নিয়ে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান বাতিল হল। এই তালিকায় নবতম সংযোজন যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। আচার্য হিসাবে সবক’টি অনুষ্ঠানে আমি যোগ দেব, সেটাও বলেছিলাম। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। আমি চাইব সমস্ত প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা আমাকে তথ্য দিয়ে দিশা দেখান।’

আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্র বিক্ষোভের আশঙ্কা থেকে তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। শনিবার কর্মসমিতি এ নিয়ে বৈঠক করে। ঠিক হয়, আচার্য ছাড়াই সেদিন ডিগ্রি ও পদক প্রদান করা হবে। এ খবরেই বেজায় চটেন রাজ্যপাল। কারণ, তিনিই নিয়ম মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

আরও পড়ুন : ৬০ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান, আছে প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের কথায়, এ রাজ্যে দায়িত্ব নিয়ে আসা ইস্তক জগদীপ ধনকড় যে ভূমিকা পালন করেছেন, তাতে তাঁকে বিজেপির একজন অনুগত সৈনিক ছাড়া কিছুই মনে করা সম্ভব নয়। বাবুল সুপ্রিয়র ঘটনা এখনও ভোলেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

সূত্রের খবর, ২৪ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের নাম উঠে আসতেই ক্ষেপে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ও অতি বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। রাজ্যপালের কাছ থেকে পদক কিংবা সম্মান নিতে চান না বলেও কেউ কেউ দাবি তোলেন। এমনকী রাজ্যপাল ক্যাম্পাসে গেলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর পরিকল্পনাও করা হয়।

এই সবকিছু উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কানে পৌঁছয়। এরপরই তড়িঘড়ি কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে পরিকল্পনায় বদল আনা হয়। এ বিষয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন জগদীপ ধনকড়। ঘটনাটিকে ‘A sad development’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অন্য কথা বলছে। মনে করাচ্ছে, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা। যার প্রতিবাদ জানিয়ে তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে স্বর্ণপদক নিতে অস্বীকার করেছিলেন গীতশ্রী সরকার নামে এক ছাত্রী। সে ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চাইছে না যাদবপুর। তাই সমাবর্তনে রাজ্যপালকেও চাইছে না তারা।

About Author