মঙ্গলবার 29 শে ডিসেম্বর বিজু জনতা দলের অভিনেতা-সাংসদ অনুভব মোহান্তি (Anubhab mohanti) হাজিরা দিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে। গত 15 ই ডিসেম্বর অনুভবের অভিনেত্রী স্ত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনী(Barsha priyadarshini) মহিলা কমিশনে অনুভবের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা কমিশনের তরফে অনুভব মোহান্তি ও তাঁর মা-বাবাকে মহিলা কমিশনের দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুভবের সঙ্গে এদিন তাঁর মা-বাবা আসেননি। মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা অনুভবের বিরুদ্ধে প্রিয়দর্শিনীর গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগের ভিত্তিতে অনুভবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর 2014 সালে অনুভব ও প্রিয়দর্শিনীর বিয়ে হয়েছিল। অনুভব ও প্রিয়দর্শিনী দুজনেই ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রিয়দর্শিনী অনুভব ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, অগষ্ট মাসে আদালতে অনুভবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। প্রোটেকশন অফ উওম্যান ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট (2005)-এর 12, 17, 18, 19, 20, 22, 23 নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেন প্রিয়দর্শিনী। প্রিয়দর্শিনী অভিযোগ করেন, তাঁকে একাধিক বার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। অত্যাচারের জেরে একাধিক ফিল্ম প্রিয়দর্শিনীর হাতছাড়া হয়েছে। এই কারণে শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে 15 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন প্রিয়দর্শিনী। এছাড়া অনুভবের কাছ থেকে তিনি মাসিক সত্তর হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
প্রিয়দর্শিনী অনুভবের বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন। এমনকি মদ্যপ অবস্থায় অনুভব প্রিয়দর্শিনীকে মারধোর করতেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু অনুভব প্রভাবশালী ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ হওয়ার কারণে পুলিশের কাছে না গিয়ে প্রিয়দর্শিনী সরাসরি আদালতে অভিযোগ জানান। কটকের একটি বাড়িতে তালাবন্ধ রেখে অনুভব তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন বলে জানান প্রিয়দর্শিনী। ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে অনুভব মোহান্তির বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে অনুভবের রাজনৈতিক কেরিয়ারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে বিজেডি দলের জাতীয় মুখপাত্র-এর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে শীর্ষ দলীয় নেতৃত্ব।