দেবিপক্ষ চলছে। তারই মাঝে উত্তরপ্রদেশে ঘটে গেছে এক নির্মম ঘটনা। হাথরসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণ, মৃত্যু এখনও আমাদের শরীরে শিহরণ তৈরি করে। মন ভারী প্রত্যেকের। হাথরসের ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক দলের যে জঘন্য রূপ কাজ করে তা জনসাধারণ বোঝে। ভোটের আগে একটা আগুন না ধরলে একটা দামামা না বাজলে এক অপরের উপর আঙ্গুল তোলা সহজ হয় না।
এদিকে যোগী আদিত্যনাথ টুইটারে লেখেন, “উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেরা সম্মানহানি করার চিন্তা রাখলেও সমূলে নাশ করা হবে। এমন শান্তি দেওয়া হবে যে নজির হয়ে থাকবে ভবিষ্যতে। আপনাদের উত্তরপ্রদেশ সরকার মা-বোনেদের সম্মানরক্ষায় সংকল্পবদ্ধ। এটা আমার সংকল্প ও প্রতিশ্রুতি।” পাশাপাশি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন,”এই ঘটনার পর ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের। আমরা সুবিচার চাইছি।”
হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে ওই দলিত মেয়েটি ছিল রাজনৈতিক দলের শিকার। ধর্ষণ হয়েছে কি হয়নি সেই প্রসঙ্গ বাদ দিলেও বাকি যা যা ঘটেছে তাতে করে এ যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক তামাশা তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
এবারে, হাথরসের দলিত তরুণীর গণধর্ষণ কান্ডে মুখ খুললেন বিরাট পত্নী অনুষ্কা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট শেয়ার করেছেন অনুষ্কা।
ছেলে ও মেয়ের মধ্যে যাঁরা বিভেদ করে থাকেন, তাঁদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলেছেন অনুষ্কা ৷ ছেলে হয়ে জন্মানো কি বিশেষ অধিকার? অনুষ্কা জানান, নারী হয়ে জন্মানো এক আলাদা প্রাপ্তি ৷ এই ব্যপারে তিনি লিখেছেন, বিশেষাধিকারের বদলে পুরুষ সন্তানকে এমন শিক্ষা দেওয়া উচিৎ যে সে অন্য নারীকে সম্মান করে।