মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর বলিউডের অন্যতম চর্চিত লাভ বার্ডস। এদের প্রেমের রসায়ন কারোরই অজানা নয়। এদের প্রেম প্রায়দিনই পেজ থ্রিতে শিরোনাম থাকেন। এক কথায় বলতে গেলে এই জুটির লাভস্টোরি বিটাউনে এখন হটকেক। তাঁদের প্রতিটা পদক্ষেপেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। গত বছর করোনা আবহে এই লাভ বার্ডস একসাথে লিভ ইন করাও শুরু করেন। গতবছর দুজনেই একসাথে কোভিড পজিটিভ হন। কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর দুজনেই কাজ শুরু করেন সাথে একসাথেই কখনো গোয়া ট্রিপে বেড়িয়ে পড়েন এই জুটি। তবে পাপাজ্জিদের চক্ষু আড়াল কখনো হয়না।
তবে এবারে অভিনেতা মালাইকার জন্য নয় অন্য একজনের জন্য পেজ থ্রিতে আছেন। মালাইকাকে ছেড়ে অন্য একজনের নামে ট্যাটু করলেন অর্জুন কাপুর। কে এই বিশেষ রমণী? যে কিনা মালাইকার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। না মালাইকা অভিনেতার কাছের হলেও এই রমণী ছোট থেকে অর্জুনের খুব কাছের। অর্জুন বিশেষ মানুষের নাম খোদাই করে ফেললেন নিজের হাতে। তবে সেই বিশেষ নারী হলেন, অংশুলা কাপুর। ইনি সম্পর্কে অর্জুনের ছোট আদুরে বোন।
বনি কাপুর ও তাঁর প্রথম স্ত্রী মোনা শৌরির একমাত্র মেয়ে আর অর্জুনের নিজের বোন। অংশুলা বয়সে ছোট থাকায় জীবনে অনেক আত্মত্যাগ করেছেন বড় দাদার জন্য। অবশ্য একথা অর্জুন কাপুর নিজেই স্বীকার করেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। বোনকে কতটা ভালোবাসে এবার তাই প্রমাণ করলেন বড় দাদা। গোটা জীবনের মতো বোনকে নিজের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছেন অর্জুন। বোন অংশুলার নামে এবার হাতে ট্যাটু করলেন অভিনেতা।
অর্জুন-অংশুলার এই দুই ভাই বোনের ভালোবাসার বন্ডিংয়ের কথা কারুরই অজানা নয়। নানা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠে ভাই-বোনের মিষ্টি মুহূর্ত। বোনের জন্য জন্য হাতে আঁকা ট্যাটুর ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন অর্জুন। ইংরাজিতে লেখা অংশুলার নামের প্রথম অক্ষর এ। আর তার সঙ্গে তাসের টেক্কার চিহ্ন। কেন এই চিহ্ন? তাও একথা নিজের ক্যাপশনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন অর্জুন। জানান, অংশুলাই অর্জুনের জীবনের টেক্কা। সারাজীবনের মত তাকে বেঁধে নিয়েছেন নিজের সঙ্গে, আর এবার নিজের হাতেও অংশুলাকে বাঁধলেন তিনি। আর ভাই বোনের ভালোবাসা দেখে অনেকে ভালোবাসা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অর্জুন আর অংশুলা যখন খুব ছোট। তখনই নিজের বাবা-মায়ের ডিভোর্স দেখে এই স্টারকিড। অভিনেতা নিজের কেরিয়ার শুরুর আগেই ক্যানসারের কড়াল গ্রাসে মাকে হারান। জীবনে বহু চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন অর্জুন কাপুর। আর এই জার্নিতে তাঁর সবচেয়ে বড় সাপোর্ট আর ভরসার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন অংশুলা কাপুর। বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর শ্রীদেবীকে এক্কেবারে সহ্য করতে পারেননি অর্জুন। বাবার সাথে তিক্ততা ছিল বেশ। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর এখন বাবা মায়ের সম্পর্ক অনেকটাই সহজ হয়৷ জাহ্নবী আর খুশিকেও নিজের বোনের মত ভালোবাসেন অর্জুন।