Arpita Chatterjee: প্রসেনজিৎ-রচনার এই গোপন কথা ফাঁস করলেন অর্পিতা!
বিকেল পাঁচটা হলেই বাঙালি মা কাকিমার “দিদি নাম্বার ওয়ান” দেখা চাই চাই। আর এই রিয়ালিটি শো এর মাধ্যমে রচনা ব্যানার্জি হয়ে উঠেছেন প্রত্যেক বাঙালি পরিবারের মেয়ে। গত বছরই আগস্ট মাসে দশ বছরে পা দিয়েছে সকলের প্রিয় দিদি নাম্বার ওয়ান। টলিউড জগতের তারকা থেকে শুরু করে রাজনীতি অন্যতম ব্যক্তিত্ব-সকলেই এই শোতে এসেছেন। আর দশ বছর ধরে একটানা এই শোয়ের সঞ্চালনা করলেন। এইবার এই শোয়ের তালিকায় নাম লেখালেন টলিউডের ইন্ড্রাস্টি ওরফে বুম্বাদার অর্ধাঙ্গিনী তথা টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের!
সম্প্রতি, ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানে এসে কথায় কথায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে দারুণ এক গোপন কথা ফাঁস করে ফেললেন প্রসেনজিৎ পত্নী। ২০০৩ সালে তৃতীয়বার অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বুম্বাদা। পরবর্তীতে তাদের কোল আলো করে আসে এক পুত্র সন্তান। প্রায় দুই দশকের কাছাকাছি সময়কাল হতে চলল এই মিষ্টি কাপলের দাম্পত্যের। এদিন জানা গেল, প্রসেনজিৎের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর অর্পিতা নিজে একদিন অভিনেত্রী রচনাকে ফোন করে একটি বিশেষ অনুরোধ করেছিলেন।
যা শুনে প্রথমে দারুণ অবাক হলেও অর্পিতার সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলেন প্রসেনজিতের এই নায়িকা।
তাই এদিম ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চ থেকেই লুকোচুরি না করে প্রকাশ্যে অর্পিতা বললেন, ‘ একটা কথা আজ বলতে চাই, যেটা আমি আগে কখনও বলিনি। আমার বিয়ের পর সিদ্ধান্ত নিই যে আর কাজ করব না। তখন ইতিমধ্যেই আমার হাতে অনেকগুলো ছবি ছিল। সেইসময় একজন এসে সব পরিচালক-প্রযোজকদের বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি হলেন স্বয়ং ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। এখানেই শেষ নয় রচনার উদ্দেশ্যে অর্পিতাকে বলতে শোনা যায় যে সকলের প্রিয় দিদি তখন বাইরে চুটিয়ে কাজ করলেও কলকাতায় নিয়মিত কাজ করতেন না।
তাই অর্পিতা নিজে ব্যক্তিগতভাবে অভিনেত্রী রচনাকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর ওই ছবির কাজগুলো যেন রচনা করেন। প্রসেনজিৎ-ঘরণীর এককথায় রাজি হয়েছিলেন রচনা। নিজের বক্তব্য শেষে ‘প্রতিবাদ’ ছবির অভিনেত্রী বলে ওঠেন, ‘একথা আমি কখনও ভুলব না।’ অর্পিতার কথায় সম্মতি জানিয়ে মিষ্টি হাসি হাসেন সকলের প্রিয় দিদি রচনাও। নিজের অভিনয়ের কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতে থাকতেই প্রসেজিৎের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অর্পিতা। বিয়ের পর সিনে দুনিয়া থেকে সরে যান তিনি। এদিকে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটিও ততদিনে একসঙ্গে ছবি করা বন্ধ করে দিয়েছেন।
আর ঠিক সেই সময় টলিউডে প্রবেশ রচনার। প্রসেজিৎের নায়িকা হিসেবে টলিউড এবং দর্শক পায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ‘সবুজ সাথী’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘মায়ের আঁচল’-এর মতো মোট ৩৫টি বাংলা ছবিতে জুটি বেঁধে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছে প্রসেনজিৎ-রচনা জুটি। আর প্রতিটি সিনেমা সেই সময় বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট।