আনন্দপুর: শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে আনন্দপুর কাণ্ডে ধরা পড়ল অভিযুক্ত অভিষেক পান্ডে ওরফে অমিতাভ বসু। মঙ্গলবার রাতে দমদম এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তিন দিন গা টাকা দেওয়ার পর পুলিশের জালে ধরা পড়ল এই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, দমদম এলাকা থেকে এক বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার সময় পুলিশের কবলে পড়ে সে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার রাতে। এক সোশ্যাল মাধ্যমে আলাপ হওয়া তরুণীকে পঞ্চসায়রে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে অভিষেক পান্ডে ওরফে অমিতাভ বসু গাড়ির মধ্যে সেই তরুণীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এমনকি গাড়ির মধ্যে সেই সময় চলে মারধরও। সেই সময় পাশ দিয়ে এক দম্পতি যাচ্ছিলেন এবং তারাই কার্যত তরুণীকে উদ্ধার করে। অবস্থা হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে নিজের গাড়িটি ওই উদ্ধারকারী মহিলার পায়ের উপর দিয়ে চালিয়ে পালিয়ে যায় অভিষেক। নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ ফেরার অভিষেককে খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে আনন্দপুর থানা। সেইমতো তিনদিনের মধ্যেই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসে। জানা যায়, অভিযুক্তের আসল নাম অভিষেক পান্ডে। বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল তার। বিয়ের আট মাস পর থেকেই স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে সে। বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা।
এরপরই পঞ্চসায়রের তরুণীর সঙ্গে পরিচয় অমিতাভ ওরফে অভিষেকের। তরুণীর মায়ের কথায়, চলতি বছরেই অমিতাভের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু এই তরুণীকেও নিগ্রহ করত অভিযুক্ত। এখন অভিষেককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে কার্যত জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এখনও পর্যন্ত নিজের মুখে অভিযুক্ত কিছু স্বীকার করেনি বলেই জানা যাচ্ছে। এই ঘটনা পরবর্তী সময়ে কী মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।