সদ্য শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান আইডলের সিজেন ১২। স্বাধীনতা দিবসের দিন ঐতিহাসিক ১২ ঘন্টার লাইভ গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে টেলিভিশন। ১৫ অগস্ট মধ্যরাতে জানা গিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’-র বিজেতার নাম। ৮ মাসের দীর্ঘ লড়াইতে বিজেতা হয়েছেন উত্তরাখণ্ডের ছেলে পবনদীপ রাজন। আর দ্বিতীয় হয়েছে বাংলার মিষ্টি মেয়ে অরুণিতা কাঞ্জিলাল ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে দ্বিতীয় হলেও বাংলা সহ লক্ষ লক্ষ মানুষে মনে জায়গা করে নিয়েছে অরুণিতা।
ইন্ডিয়ান আইডল অরুণিতার গান সকলকে বার বার মুগ্ধ করেছে লক্ষ লক্ষ শ্রোতাদের। তেমনি মুগ্ধ হয়েছেন বিচারক থেকে অতিথিরাও। অরুণিতার সুরেলা কণ্ঠী গানে মুগ্ধ হয়েছেন রেখাজি, করণ থেকে এ আর রহমান, জাভেদ আলীর মতো সঙ্গীতশিল্পীরা। সুরেলাকন্ঠী অরুণিতার বাংলার বনগাঁর মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা ছিলেন এক স্কুল শিক্ষক। ছোট থেকেই পড়াশুনোর সাথে তাল মিলিয়ে গানের তামিল নিয়েছেন। এরপর সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে রবীন্দ্র গাঙ্গুলীর কাছ থেকে সংগীত শিক্ষা নিয়েছেন অরুণিতা।
স্বপ্ন প্রতিষ্ঠিত গায়িকা হওয়ার। আর সেই জন্যেই মুম্বাই ছুটে গিয়েছে৷ দ্বিতীয় হলেও এখন অরুণিতার অনেক নতুন গানের অ্যালবামে কাজ করা বাকি আছে৷ ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে যেতে হচ্ছে এই তরুণ গায়িকাকে। তবে নিজের শিকড়কে ভুলে যাননি অরুণিতা। তাই তো দীর্ঘ ১০ মাস পর নিজের প্রিয় শহর বঁনগাতে ফিরে এলেন। বাড়ি ফিরতেই মায়ের হাতের প্রিয় রান্না, দাদাদের সাথে রাখী বন্ধন উৎসব উদযাপন, পাড়ার প্রতিবেশী, সব বন্ধুবান্ধবদের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা পেয়েছেন অরুণিতা। আর এত ভালোবাসা পেয়ে তিনিও খুশিতে আপ্লুত।
দিন যত যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় অরুণিতার ফ্যান ফলোয়ার সংখ্যা ততই বাড়ছে। তাঁর সুরেলা কন্ঠের যাদুতে মন মজেছে ৮ থেকে ৮০র সকলের। এখন বেজায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। এই সময় অরুণিতাও নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে বেশ ভালোই সক্রিয়। গানের নানান তালিমের নানান ভিডিও আপলোড করেন। অরুণিতা যেমন ভালো গান করে তেমনই অপূর্ব সুন্দরী। আএ এই মিষ্টি মেয়ের প্রেমেও ইতিমধ্যেই হাবুডুবু খাচ্ছে অসংখ্য অনুরাগী। অরুণিতা জানান রোজই নাকি তাঁর ইমেলে ঢুকছে রকমারি বিয়ের প্রস্তাব। তবে এখন এই গায়িকা বিয়ে নয় নিজের কাজকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।